ঢাকা, বুধবার ০১ মে ২০২৪, ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন
বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর এক বছর পর জানা গেল সেই তরুণের করোনা ছিল না
দৈনিক ডাক অনলাইন ডেস্ক

তিনটি হাসপাতালে গিয়েও ভর্তি করানো যায়নি অসুস্থ এক শুভ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায় নামের তরুণকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ধারণা ছিল ওই তরুণ করোনায় আক্রান্ত। ভয়ে তারা হাসপাতালে ভর্তি করেনি। এক পর্যায়ে যখন ভর্তি করা হয় ততক্ষণে তার অবস্থা এতটাই অবনতি ঘটে যে, আর তাকে বাঁচানো যায়নি।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সেই ঘটনার এক বছর পর জানা গেল ওই তরুণের করোনা পজিটিভ ছিল না। খবর জিনিউজের।

খবরে বলা হয়, তিন হাসপাতাল ঘুরেও চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না শুভ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ওই ঘটনায় ছেলের মৃত্যুর এক বছর পর হাইকোর্টের নির্দেশে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানতে পারলেন মা শ্রাবণী চট্টোপাধ্যায়।

খবরে বলা হয়, বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে ছেলের-এই মর্মে গতবছর জুলাইয়ে বেলঘড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন মা শ্রাবণী। ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে তিনটি হাসপাতাল ঘুরেছিলেন মা-বাবা। বেলঘড়িয়ার বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সাগর দত্ত, সেখান থেকে মেডিকেল কলেজ। শেষে মেডিক্যাল কলেজে শ্রাবণী আত্মহত্যার হুমকি দেওয়ার পর ভর্তি করা হয় শুভ্রজিতকে। তবে বাঁচানো যায়নি।

তখন শ্রাবণী দাবি করেছিলেন, বেলঘড়িয়ার বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বলা হয়েছিল, শুভ্রজিতের কোভিড হয়েছে। কিন্তু, স্বাস্থ্য দফতরের কাছে কোনও তথ্য ছিল না। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসা করা হয়নি শুভ্রজিতের। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মা।

শুভ্রজিতের দেহের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট । সেই রিপোর্টে জানা গেল, শুভ্রজিত কোভিড আক্রান্ত ছিলেন না। পরিবারের বক্তব্য, সেদিন তিনটি হাসপাতাল ঘুরতে না হলে বাঁচানো যেত ছেলেটাকে। এই রিপোর্ট আসার পর সুবিচার চেয়েছেন শ্রাবণী ।

আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশে দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছিল। এতদিন পর জানতে পারলাম কোভিড নেগেটিভ।’

তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। রিপোর্টে উল্লেখিত তারিখ- ১৬ জুলাই, ২০২০। এতদিন পর কেন প্রকাশ করা হল? জানতে চাইছে পরিবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x