ঢাকা, বৃহস্পতিবার ০৬ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৬ অপরাহ্ন
ত্রিশালে বেতন বোনাসের টাকায় এএসপি দিদার নূরের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
এস.এম জামাল উদ্দিন শামীম

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পরা মহামারী পরিস্থিতি বিস্তৃতিতে বাংলাদেশেও চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ।

প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে অনেকে। করোনা প্রতিরোধ করতে সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মানুষের মাঝে জনসচেতনতা সৃষ্টি, সংক্রমণ রোধে লকডাউন,শাটডাউনে ঘরমূখো হয়ে পরা অসহায়,দরিদ্র,শ্রমজীবী মানুষ, পরিবার পরিজন নিয়ে দিন কাটছে অর্ধাহারে অনাহারে। নিত্যদিনের রোজগারে জোটত খাবার।বিশেষ করে তাদের অর্ধাহারে অনাহারে থাকা শিশুদের কথা বিত্তবান মানবিক মানুষ গুলোর কানে পৌঁছায় না।পরিবারে কর্তাব্যক্তিরা লজ্জায় কাউকে কিছু বলতেও পারছেন না।

ময়মনসিংহের ত্রিশালে নিজ এলাকায় রবিবার ১১ জুলাই প্রয়াত ডাঃ নূরুল ইসলামের সুযোগ্য সন্তান সাতক্ষীরা জেলা পুলিশে কর্মরত এএসপি দিদার নূর এমন কয়েকটি অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে  খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কর্মব্যস্ততায় স্বশরীরে উপস্থিত থাকতে না-পেয়ে ভাই মোঃ মাজহারুল ইসলাম মনিরের মাধ্যমে ৩০ টি পরিবারে মাঝে বিতরণ করেন এসমস্ত খাদ্য সামগ্রী। এসময় বিতরণ কার্যক্রমে সহযোগিতায় ছিলেন মোঃ ইমামুল হাসান রিয়াদ, আজহারুল আমিন সবুজ।

এএসপি দিদার নূর বলেন,

লকডাউনের কারনে অনাহারে অর্ধাহারে কাটানো অভাবী মানুষগুলোর পাশে দাড়াতে পেরে খুব ভাল লাগছে।যেখানে জন্মেছি,বেড়ে উঠেছি সেখানকার খেটে খাওয়া, ক্ষুধার তাড়নায় জর্জরিত মানুষগুলোর আর্তনাদ আমি উপেক্ষা করতে পারি নি।ক্ষুধার জ্বালা যে বড় জ্বালা!নিরন্ন মানুষগুলোর সাময়িক ক্ষুধা লাঘবের জন্য আমার এবারের ইদের বেতন বোনাসটা নাহয় তাদের সাথেই ভাগ করে নিলাম।

পরম করুণাময়ের কাছে অশেষ শুকরিয়া যে আগামী কয়েকটা দিনের খাবার জোগাড় করার জন্য  ৩০ টি অনাহারী পরিবারের কপালের চিন্তার ভাঁজ কিছুটা হলেও কমাতে পেরেছি।এই মানুষগুলোর কাছে  তিনবেলা খেতে পারাটাই যে এখন পরম আরাধ্য।

প্রচারনার উদ্দেশ্যে নয় বরং একবার মনে হলো আমাকে দেখে উৎসাহী হয়ে কেউ যদি নিজের এলাকার অনাহারী মানুষগুলোর জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তবে তারা তো অন্তত কয়েকটাদিন খেয়েপড়ে বেঁচে থাকার রাস্তা খুঁজে পাবে,এই দৃষ্টিকোন থেকেই বিষয়টি শেয়ার করা।

নিজে সশরীরে উপস্থিত না থাকতে পারলেও আমার হয়ে খাদ্যসাহায্যগুলো দুঃস্থ অসহায় মানুষগুলোর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য স্নেহের ছোট ভাই সবুজ ও ইমামুল রিয়াদকে অসংখ্য ধন্যবাদ।তাদের শ্রম ও সহযোগিতা ছাড়া আমার পক্ষে এ কাজ সম্পন্ন করা কখনোই সম্ভব হতো না।

এই শ্বাসরূদ্ধকর কঠিন সময়গুলো দ্রুতই কেটে যাক।করোনা মহামারী দূর হয়ে আবারো মুখরিত হয়ে উঠুক প্রতিটি জনপদ।আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।

x