ঢাকা, বৃহস্পতিবার ০৬ মার্চ ২০২৫, ১১:০৮ অপরাহ্ন
প্রধান বিচারপতি: সাংবিধানিক আদালত বন্ধ থাকতে পারে না
Reporter Name

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে সরকারের প্রজ্ঞাপন দেখে আদালত পরিচালনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

তবে তিনি এটাও বলেছেন, ‘দেশের সাংবিধানিক আদালত বন্ধ থাকতে পারে না। ইন্ডিয়াতেও কোর্ট বন্ধ রাখেনি।’

রোববার সকালে আপিল বিভগে এক মামলার শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ভিডিও তে দেখলাম ঢাকা কোর্টে হাজার হাজার লোক সমাগম হয়। তাই এসব বিষয় ভেবে আজকে আমরা ডিসাইড করব যে কোর্ট কিভাবে চলবে।’

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির প্রেক্ষাপটে শনিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ ওবায়দুল কাদের জানানা, সরকার সোমবার থেকে এক সপ্তাহের ‘লকডাউন’ ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ৩৯২তম দিনে ২৪ ঘণ্টায় ৫৮ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয় হাজার ১৫৫ জন।

এর আগেও দেশে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকির প্রেক্ষাপটে আদালতগুলোতে টানা সাধারণ ছুটি চলার এক পর্যায়ে কিছু আইনজীবী ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনার দাবিতে সোচ্চার হন। সেই প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ‘ফুল কোর্ট সভা’ থেকে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারির জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত আসে।

পরে ভার্চুয়াল উপস্থিতিকে স্বশরীরে আদালতে উপস্থিতি হিসেবে গণ্য করে অধ্যাদেশ জারি করেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। সে অধ্যাদেশ জারির পর গত বছরের ১১ মে থেকে দেশে ভার্চুয়াল আদালতের নবযাত্রা শুরু হয়।

প্রথমে দেশের অধস্তন আদালত, এরপর হাইকোর্ট এবং পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত ও আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম চলতে থাকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে। পরবর্তীতে ভার্চুয়ালের পাশাপাশি শারীরিক উপস্থিততেও আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।

x