ঢাকা, রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০২ পূর্বাহ্ন
গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৪ হাজার মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে
Reporter Name

দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ৩৮৬তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৪ হাজার মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে। এই সংখ্যা করোনা শনাক্ত হওয়ার পর চতুর্থ সর্বোচ্চ। গত বছরের ২ জুলাই রেকর্ড ৪ হাজার ১৯ জন শনাক্ত হয়।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৯০৪ জন। আর রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৯০৪ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‍শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ২২ হাজার ১৩৬টি নমুনা পরীক্ষায় তিন হাজার ৯০৪ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৩৪ লাখ ৮৩ হাজার ৮৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১১ লাখ চার হাজার ৯৯৪টি নমুনা। অর্থাৎ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৫ লাখ ৮৮ হাজার ৮৩০টি নমুনা।

এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ ৯৫ হাজার ৭১৪ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ১৯ জনসহ মোট পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ৯৪১ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ২১ জন পুরুষ ও ১৪ জন নারী। তাদের মধ্যে সবারই হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা আট হাজার ৮৯০৪। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ছয় হাজার ৭১৬ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং দুই হাজার ১৮৮ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ২৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৩৫ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব তিন জন, চল্লিশোর্ধ্ব ছয় জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঁচ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ২১ জন রয়েছেন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ২৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে দুই জন, রাজশাহী বিভাগে দু্ই জন, খুলনা বিভাগে এক জন ও বরিশাল বিভাগে এক জন।

চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১২ কোটি ৭৩ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ লাখ ৯১ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১০ কোটি ২৬ লাখের বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x