শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে এগুলো উদ্ধার করা হয়। এসব গুলি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার বলে ধারণা করছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী সদস্যরা।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী সূত্র জানায়, বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজ করছে সিসিই সিসি নামের একটি চায়না কোম্পানি। বাঁকখালীর নাজিরার টেকের কাছাকাছি জায়গায় ওই কোম্পানির কার্যালয় নির্মাণের জন্য বালি ভরাটের কাজ দেওয়া হয় ফাতেমা ড্রেজার কোম্পানিকে। প্রতিষ্ঠানটি কক্সবাজার বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজের জন্য পাশের বাঁকখালী নদী ড্রেজিং করে মাটি এনে ভরাট করছিল। এ কাজের মাটি খুঁড়াখুড়ি করতে গিয়ে বস্তাভর্তি গুলি দেখতে পায় বিমানবাহিনীর সদস্যরা। পরে বিষয়টি শেখ হাসিনা বিমান ঘাঁটির পদস্থ কর্মকর্তাদের জানানো হয়।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুনীর উল গীয়াস জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তভর্তি তাজা গুলি দেখতে পায় বিমান বাহিনী শেখ হাসিনা ঘাঁটিতে কর্মরত কর্মীরা। পরে বিমান বাহিনী কতৃর্পক্ষ পুলিশ খবর দেয়। এসময় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সামনে উদ্ধার হওয়া গুলিসমূহ গণনা শেষে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নিয়মানুসারে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে ১৩ এপ্রিল ২ হাজার ১৯০টি গুলি বালু খুঁড়তে গিয়ে উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে মেশিন গান, থ্রি নট থ্রি রাইফেল ও পিস্তলের গুলি রয়েছে বলে জানিয়েছিল পুলিশ।