ঢাকা, রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:০৮ অপরাহ্ন
হেফাজতের জুনায়েদ বাবুনগরী সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে চান
Reporter Name

সংকটে বিপর্যস্ত হেফাজতের আমীর জুনায়েদ বাবুনগরী সরকারের সঙ্গে একটি সমঝোতায় আসতে চান। এই সমঝোতায় আসার লক্ষ্যে সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন হেফাজতের আমীর।

যা হবার হয়ে, ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে আবার আগের মত একটি সমঝোতায় আসতে চাইছেন হেফাজতের এই  নেতা। কিন্তু সরকার পক্ষ থেকে এখন বাবুনগরী জন্য দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সরকারে যাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন তারা সকলেই বলেছেন এটি এখন তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে  এটি সম্ভব।

গত ২৬ এবং ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে বিরোধিতা করে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালায় হেফাজত। এই তাণ্ডবের পর সরকার কঠোর অবস্থানে চলে যায়। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে হেফাজতের কঠিন সমালোচনা করেন। এরপর থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে সরকার এবাদত এর ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে গেছেন এবং হেফাজতকে আর কোনো ছাড় দেয়া হবে না।

২০১৩  সালের ৫ মে  হেফাজতের ঢাকা তাণ্ডবের পর থেকে আস্তে আস্তে হেফাজতের সাথে সরকার  এটি কোন সুতা তৈরি হয়েছিল এবং হেফাজতের বিভিন্ন দাবি সরকার মেনে নিয়েছিল। বিশেষ করে পাঠ্যপুস্তক সংশোধন বিভিন্ন স্থানে ভাস্কর্য সরিয়ে নেয়ার মতো দাবিগুলো সরকার মেনে নিয়ে হেফাজতকে একধরনের স্বীকৃতি প্রদান করেছিল। আসিফা জোতের আমির ছিলেন আল্লামা শফীর মৃত্যুর পর হেফাজতের আমির নির্বাচিত হয়েছেন জুনায়েদ বাবুনগরী,গত নভেম্বর মাসে হেফাজতের আমীর হওয়ার পর থেকে তিনি একের পর এক উগ্রবাদী নীতি এবং কৌশল গ্রহণ করেছেন এবং সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে কাজ করছিলেন। কিন্তু এই ধারাবাহিকতায় জুনায়েদ বাবুনগরী বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য এর বিরোধিতা করেছিলেন সে সময় সরকারের একটি অংশ হেফাজতের সঙ্গে আপস সমঝোতা করেছিল।

এরপর জুনায়েদ বাবুনগরী মনে করেন যে সরকার বোধহয় দুর্বল এবং সরকারকে যা বলা যাবে সেটি সরকার শুনতে বাধ্য হবে অর্থাৎ সরকারকে চাপে ফেলে সবকিছু বন্ধ করাতে এই কৌশল গ্রহণ করেছিলেন বাবুনগরী। সে ধারাতেই নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর এর বিরোধিতা করেছিল হেফাজত এটাকে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চেয়েছিলেন জুনায়েদ বাবুনগরী, তারা মনে করেছিল যে প্রথমত এর ফলে সরকার ভয় পাবে এবং হেফাজতকে আরো সমীহ করে চলবে হেফাজতি হবে সবচেয়ে ক্ষমতাবান আর দ্বিতীয়বার বুঝবে যে বাংলাদেশ হেফাজত একটি শক্তিশালী সংগঠন কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেফাজতের এ বিষয়টি মোটেও হজম করেন নি বরং হেফাজতকে পাল্টা কৌশলে এখন প্রায় ঘায়েল করে ফেলেছেন হেফাজত এখন দম আটকে ছটফট করছে পালাবার কোনো পথ পাচ্ছে না,

এমন পরিস্থিতিতে বাবুনগরী তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন তাদের সঙ্গে একটু বসতে চেয়েছেন অন্তত সরকার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে হেফাজতের সাথে একটি বৈঠকের আয়োজন করেন এমন প্রস্তাব জুনায়েদ বাবুনগরী দিয়েছেন,কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে যারা জুনায়েদ বাবুনগরী সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে একটি সমঝোতা করে চলতো তারাই এখন বলছে এটা সম্ভব নয় এবং বিষয়টি তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে , জুনায়েদ বাবুনগরী এখন একটি অনিশ্চয়তায় ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হচ্ছেন। হেফাজত এবং মাদ্রাসাগুলোকে নিয়ে কি হবে এ নিয়ে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরাও উদ্বিগ্ন এজন্য তারা দায়ী করছেন জুনায়েদ বাবুনগরীকে। সুত্র banglainsider.com

x