নৈশপ্রহরীর কাজ করেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন ভারতের কাসরাগোডের পানাথুরের বাসিন্দা রঞ্জিত রামাচন্দ্রন। হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। ২৮ বছর বয়সী রঞ্জিত সম্প্রতি নিজের জীবন সংগ্রামের কাহিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জানান।
এরপর সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। কলেজে পড়ার পাশাপাশি রাতে কাজ করতেন স্থানীয় টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসে। সেখানেই নৈশপ্রহরী হিসেবে কাজ করতেন রঞ্জিত। খবর এনডিটিভির
৯ এপ্রিল ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে রঞ্জিত বলেছেন, আমি দিনে কলেজে যেতাম, আর রাতে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসে কাজ করতাম। কাসরাগোডের পানাথুরের বিএসএনএল কোম্পানির টেলিফোন এক্সচেঞ্জে নৈশপ্রহরীর কাজ করতেন তিনি। ওই জেলার পায়াস টেনথ কলেজে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতকে পড়তেন। সেই পড়াশোনা শেষ করে মাদ্রাজে গিয়েছিলেন রঞ্জিত। মাদ্রাজে উচ্চশিক্ষা নিতে গিয়েই গ্যাঁড়াকলে পড়েছিলেন। কারণ তখন পর্যন্ত মালায়ালম ছাড়া অন্য কোনো ভাষা জানতেন না তিনি।
সেইসঙ্গে ছিল জীবিকার তাড়না। একপর্যায়ে পিএইচডির পড়াশোনাও ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। তবে তাকে উৎসাহ দিয়েছিলেন সুভাষ নামে এক শিক্ষক। বর্তমানে বেঙ্গালুরুর ক্রাইস্ট ইউনিভার্সিটিতে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। ফেসবুকে অনেক ব্যবহারকারীই রঞ্জিতকে নিজেদের অনুপ্রেরণার উৎস বলে মন্তব্য করেছেন।
রঞ্জিত বলেন, পোস্টটি যে এভাবে ভাইরাল হবে, তা আমি কখনও ভাবিনি। আমি নিজের জীবনের কাহিনি জানিয়েছিলাম।