এদিকে ওই ড্রোন হামলায় একই পরিবারের ছয় শিশুসহ ১০ জন নিহত হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসিকে নিশ্চিত করেছে নিহতদের আত্মীয়স্বজন। শনিবার( ২৯ আগস্ট) একটি বাড়ির সামনে রাখা গাড়িতে হামলা হলে ওই ১০ জন নিহত হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর দাবি ওই গাড়িতে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের খোরাসান শাখার এক সদস্য ছিল। যাকে লক্ষ্য করেই এই হামলা চালানো হয়। ড্রোন হামলার পরে বিস্ফোরণে কারণে ওই গাড়ির আশেপাশে থাকা ব্যক্তিরা নিহত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারনা করছে তারা।
এদিকে বিবিসি জানিয়েছে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে কয়েকজন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। তারা ভিসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশের অপেক্ষায় ছিলেন। ওই এলাকা পরিদর্শন করে আসা স্থানীয় একজন সাংবাদিক বলেন, গাড়িতে কী ছিল সেটা বলতে পারব না। তবে হামলার পর গাড়িটি কঙ্কালসার হয়ে গেছে।
নিহত এক শিশুর বড়ভাই বলেন, আমরা সাধারণ পরিবার, আইএস জঙ্গি নই। এটা আমাদের পারিবারিক বাড়ি। এখানে আমার ছোট ভাইয়েরা পরিবারের সঙ্গে বসবাস করত। যেখানে হামলা করা হয়েছে তার একজন প্রতিবেশী বলেন, আমরা সবাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করছিলাম। আগুন নেভাতে গিয়ে দেখি ৫-৬ টি লাশ পড়ে পড়ে আছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড জানাচ্ছে তারা এই ঘটনার তদন্ত করছে,তবে ওই ১০ জন কিভাবে মারা গেছে তা এখন স্পষ্ট নয়। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ড্রোন হামলার পরেও ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তারা জানাচ্ছে, ড্রোন হামলার পর যে বিস্ফোরণ ওই গাড়িতে হয়েছে তাতে বোঝা যাচ্ছে সেখানে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক উপাদান ছিল এ কারণে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে।
এর আগে এক বিবৃতিতে সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছিল, ড্রোন হামলায় কাবুল বিমান বন্দরের আসন্ন হামলাকারী আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর খোরাসান শাখার সদস্যকে সফলভাবে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া সম্ভব হয়েছে। মার্কিন সেন্ট্রাল কমাণ্ডের ক্যাপ্টেন বিল আরবান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি ‘আসন্ন হুমকি’ নির্মূল করতে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা নিশ্চিত, আমরা সফলভাবেই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছি”। তিনি আরো বলেন, “যে গাড়িকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা হয়েছে সেখানে দ্বিতীয় একটি বিষ্ফোরণ ঘটে যা ইঙ্গিত দিচ্ছে সেখানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিষ্ফোরক রাখা ছিল”।
এর আগে বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরের গেটে আইএস খোরাসান শাখা ভয়াবহ এক আত্মঘাতী হামলা চালায়। হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ সেনাসহ ১৭০ জন নিহত হয়। যুক্তরাষ্ট্র হামলাকারীদের খুঁজে বের করে হত্যার ঘোষণা দেয়।