ঢাকা, শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:০৩ অপরাহ্ন
করোনায় আক্রান্ত হওয়া থেকে কেনাকাটা যেখানে গুরুত্বপূর্ণ
Reporter Name
Mandatory Credit: Photo by Md Manik/SOPA Images/Shutterstock (10651537c) People flood markets for Eid shopping ignoring the risk of Coronavirus (COVID-19). Bangladesh has so far confirmed 26,723 coronavirus cases, 391 deaths and 4993 recovered. People flood markets for Eid shopping in Dhaka, Bangladesh - 19 May 2020

দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। এরমধ্যেও প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। ফলে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে সরকার।

সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী সামনের লকডাউনগুলোতে জরুরি সেবা ছাড়া সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। ফলে সামনে বৈশাখ ও ঈদুল ফিতর থাকায় করোনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বিপণিবিতান ও শপিংমলগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

গত ৫ তারিখ থেকে দেশে বিধিনিষেধ আরোপ করায় সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় সরকার। তবে এ নির্দেশনার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে আন্দোলন করতে থাকেন ব্যবসায়ীরা। পরে তাদের দাবির মুখে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেয় সরকার।

 

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার শুরুর দিন থেকে প্রতিনি বিপণি বিতানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই লক্ষ্য করা যায়নি। রাজধানীর নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চাদনী চক, নূরজাহান মার্কেটসহ বেশির ভাগ মার্কেটগুলোতেই ক্রেতাদের উপচে পরা ভিড় দেখা গেছে। আগের মতোই গাদাগাদি করে কিনতে হচ্ছে প্রয়োজনীয় পণ্য। এদের দেখে বোঝার উপায় নেই যে, গোটাদেশই এখন মহামারির হুমকিতে রয়েছে।

 

দেখা গেছে, সময় যত গড়িয়েছে ক্রেতার চাপে ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্যবিধি। মার্কেটের প্রবেশপথে জীবাণুনাশক টানেল থাকলেও তা ব্যবহারে চরম অনীহা দেখা যায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের। আবার বিপণিবিতানের ভেতরে মাস্ক ছাড়া দেখা যায় বিক্রয় কর্মীদেরও। ক্রেতাদের অনেকেরই দাবি, অনেকটা বাধ্য হয়ে এসেছেন কেনাকাটা করতে।

x