ঢাকা, সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০১ পূর্বাহ্ন
অবশেষে বিয়ে করলেন আকাশ-বাতাস কে সাক্ষী রাখা সেই শিক্ষ‌ক-শিক্ষিকা
শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ

অবশেষে বিয়ে করলেন পবিত্র কুরআন ও আকাশ-বাতাস কে সাক্ষী রাখা সেই প্রধান শিক্ষ‌ক-শিক্ষিকা

শরীয়তপুরে সখিপুর সেই আলোচিত ঘটনায় অবশেষে সহকারী শিক্ষিকা খাদিজা বেগমকে বিয়ে করলেন প্রধান শিক্ষক আজহারুল ইসলাম। শনিবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাতে ওই শিক্ষিকার বাড়িতে বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন হয়।

শিক্ষিকা খাদিজা বেগম মুঠোফোনে বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রে‌ বলেন, আমরা বিয়ে করেছি। বিয়েতে ছয় লাখ টাকা দেনমোহর ধরা হয়েছে। আর উশুলি ধরা হয়েছে এক লাখ টাকা। আমি প্রধান শিক্ষককে বিয়ে করে খুবই খুশি হয়েছি। তাকে নিয়ে আমি সুখে সংসার করতে চাই।

চরসেনসাস ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান মনির বলেন, প্রধান শিক্ষক আজহারুলের প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়েই খাদিজা-আজহারুলের বিয়ে কাজ সম্পূর্ণ হয়। বিয়েতে উকিল বাবা হন স্থানীয় আজাহার গাজী। এসময় স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত শ‌নিবার বিকালে প্রধান শিক্ষক আজহারুল ইসলামের (৫৬) বিরুদ্ধে ধর্ষণ অভিযোগ সখিপুর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী সহকারী শিক্ষিকা খাদিজা বেগম (৩৬)। ওই প্রধান শিক্ষক আজহারুল ইসলাম সখিপুর থানার চরসেনসাস ইউনিয়নের মাগন বেপারীর কান্দি গ্রামের আব্দুর রব বেপারীর ছেলে। তিনি ৪৪নং তারাবুনিয়া মাঝী বাড়ি  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কর্মরত রয়েছেন।

আর শিক্ষিকা খাদিজা বেগম একই ইউনিয়নের ৮০ নং চরসেনসাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। অ‌নৈ‌তিক সম্প‌র্কে প্রধান শিক্ষ‌কের সা‌থে সহকা‌রী শিক্ষিকার বি‌বাহকা‌ন্ডে তোলপাড় সৃ‌ষ্টি হ‌য়ে‌ছে শিক্ষক সমাজে।

জানা যায়, ২০১৩ সাল থেকে ওই সহকারী শিক্ষিকা খাদিজা বেগমের সঙ্গে প্রধান শিক্ষক আজহারুল ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। গত (২২ জুলাই) বিকেলে প্রধান শিক্ষক আজহারুলের স্ত্রী ও সন্তান তার শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যায়। বাড়ি ফাঁকা থাকায় রাতে প্রধান শিক্ষক আজহারুল ওই শিক্ষিকাকে মোবাইল করে তার বাড়িতে আসতে বলেন। আজহারুলের কথামতো রাত ১০টার দিকে ওই শিক্ষিকা সেখানে আসেন। তখন বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একটি কক্ষে ওই শিক্ষিকাকে ‘ধর্ষণ করেন’ আজহারুল।

পরে বিয়ের কথা বললে আজহারুল ওই শিক্ষিকাকে চুপচাপ বাড়ি চলে যেতে বলেন। তবে ওই শিক্ষিকা বিয়ে না করা পর্যন্ত বাড়ি থেকে যেতে অস্বীকৃতি জানালে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে শিক্ষিকাকে জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে শিক্ষিকাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয় ওই প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় মুরুব্বিগন।

এ ঘটনায় তিন সদ‌স্যের তদন্ত ক‌মি‌টি গঠন করে‌ছে জেলা প্রাথ‌মিক শিক্ষা অ‌ফিস। উক্ত ক‌মি‌টি ৭দি‌নের ম‌ধ্যে তদন্ত রি‌পোর্ট জমা দি‌বেন ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ। তি‌নি বলেন, ওই তদন্ত কমিটি রি‌পোর্ট জমা দি‌লে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মহাপরিচালক বরাবর বিভাগীয় ব্যবস্থা নি‌তে লিখিত ভা‌বে জানা‌নো হ‌বে।

সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ হাওলাদার বলেন, শনিবার বিকেলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ করেছেন এক সহকারী শিক্ষিকা। পরে শিক্ষিকাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এখন শুনলাম তারা নাকি বিয়ে করেছেন। মামলার বিষয়‌টি তদন্তধীন র‌য়ে‌ছে।।

6 responses to “অবশেষে বিয়ে করলেন আকাশ-বাতাস কে সাক্ষী রাখা সেই শিক্ষ‌ক-শিক্ষিকা”

  1. … [Trackback]

    […] Read More here on that Topic: doinikdak.com/news/40530 […]

  2. … [Trackback]

    […] Information on that Topic: doinikdak.com/news/40530 […]

  3. … [Trackback]

    […] Info on that Topic: doinikdak.com/news/40530 […]

  4. … [Trackback]

    […] Info on that Topic: doinikdak.com/news/40530 […]

  5. … [Trackback]

    […] Info to that Topic: doinikdak.com/news/40530 […]

  6. research says:

    … [Trackback]

    […] Info to that Topic: doinikdak.com/news/40530 […]

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x