চলছে কঠোর বিধিনিষেধ। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করছে পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ অবস্থায়ও ঈদের ছুটি শেষে হেঁটে, রিকশা ও ভ্যানে রাজধানীতে প্রবেশ করছেন যাত্রীরা। মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট হয়েও লোকজন ঢাকা ফিরতে শুরু করেছে।
বিআইডব্লিউটিসির সহ-মহাব্যবস্থাপক মো. সফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকাল থেকে এ ঘাট দিয়ে ফেরিতে করে ঢাকামুখী মানুষের ঢল দেখা যাচ্ছে। গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় শিমুলিয়ায় ঘাটে এসে লোকজনকে বেশ বিপাকে পড়ছে হচ্ছে। অনেকেই দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করছে গাড়ি পাওয়ার আশায়; আবার অনেকে ছোট যানবাহনে করে ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে রওনা দিচ্ছেন।
জানা গেছে, এদিকে দূরপাল্লার কোনো পরিবহনকে রাজধানীতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে ব্যক্তিগত গাড়িতে যারা গতকাল রাতে রওনা করেছেন, সেতুর টোল বক্সের টোকেন দেখে তাদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায় কল্যাণপুর, টেকনিক্যাল মোড়, গাবতলী, মাজার রোড এবং পর্বত এলাকায় যাত্রীরা পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
সূত্রের খবর, যারা বিধিনিষেধ শুরুর আগে রওয়ানা দিয়েও ঢাকা ঢুকতে পারেননি, তাদেরকেই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে পায়ে হেঁটে। লকডাউনের নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো গণপরিবহনকে যাত্রীসহ ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। একইসঙ্গে পথচারীদের মাস্ক ব্যবহারে বাধ্য করা হচ্ছে। মিরপুর, টেকনিক্যাল, কল্যাণপুরেও দেখা যায় একই দৃশ্য।
আজ সকাল থেকে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধ আগামী ৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে। এদিকে বিধিনিষেধের সময়ে যেসব বিষয় কঠোরভাবে মানতে হবে তা গত ১৩ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।