চার দিনের ব্যবধানে আবারও তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হয়েছে। ফলে নতুন করে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে তিস্তাপাড়ের মানুষের।
আজ সোমবার ভোর ৬টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এর আগে ৮ জুলাই তিস্তার পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। সে সময় গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছাড়ার প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েন। সেই দুর্ভোগের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙ্গনের ভয়ে অনেকে বসতভিটা থেকে ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।
পানিউন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার উজান থেকে আসা ঢলের পানিতে উত্তাল হয়ে ওঠে তিস্তা। এতে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়ে। রংপুরের গঙ্গাচড়ায় বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়ে দুই ইউনিয়নে প্রায় ছয় হাজার পরিবার। নদীতে বিলীন হয়ে যায় কমপক্ষে ২৫ পরিবারের বসতভিটা। লক্ষীটারী ইউনিয়নে নদী ভাঙনসহ সামনে আরও বন্যা হওয়ার শঙ্কা থাকায় অনেকে তাদের ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লা আল হাদি জানান, তার ইউনিয়নে এখনো দেড় হাজারে বেশি মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। ২০টি পরিবারের বসতভিটা নদী গর্ভে গিয়েছে। এপর্যন্ত ১৫ জনের বেশি পরিবার তাদের ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন।
এদিকে কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ও পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নে আগের পানি বৃদ্ধিতে প্রায় অর্ধশত বসতভিটা নদী গর্ভে চলে গিয়েছে। সোমবার পানি বৃদ্ধির কথা শুনে অনেকের মাঝে ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া পয়েন্টের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সকাল ৬টায় পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সকাল ৯টায় বিপদসীমা বরাবর পানি প্রবাহিত হয়েছে। আপাতত পানি বৃদ্ধির শঙ্কা না থাকলেও এই মৌসুমে আরও একাধিবার পানি বাড়তে পারে বলে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন।