সরকার ঘোষিত চলমান কঠোর বিধিনিষেধ দ্বিতীয় দফায় বাড়ানোয় মানুষের ঢাকা ছাড়ার প্রবণতা বেড়েছে কয়েকগুণ। বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও বিকল্প পরিবহনে কয়েক গুণ অতিরিক্ত ভাড়া গুনে দূর-দূরান্তে যাত্রা করছেন অনেকেই। যাদের অধিকাংশই নিম্নবিত্ত ও দিনমজুর।
বুধবার (৭ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে গণপরিবহন না চললেও আগের দিনগুলোর তুলনায় সড়কে মানুষ, রিকশা, যানবাহন অনেক বেড়েছে। বৃষ্টি এবং লকডাউন উপেক্ষা করে কাজে বের হওয়া মানুষের সংখ্যা অন্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি। সেই সঙ্গে যানবাহনও বেড়েছে সড়কে।
অন্যদিকে, সড়কে চলমান যানবাহনের চাপ সামাল দিতেই সময় কাটছে পুলিশের। এ ছাড়া অভিযোগ আছে, পুলিশের সহায়তায় মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকারসহ যানবাহন চলাচলের।
এদিকে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামেগঞ্জে। পরিস্থিতির ভয়াবহতায় উচ্চঝুঁকিতে রাজশাহী, খুলনা, কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল ও সাতক্ষীরা জেলা। এখন পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ১৭৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদিকে রোগীর চাপে হাসপাতালগুলোতে হিমশিম অবস্থা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মঙ্গলবার (৬ জুলাই) পর্যন্ত দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৩৯২ জন এবং মোট করোনা শনাক্ত ৯ লাখ ৬৬ হাজার ৪০৬ জন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বুধবার (৭ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন আরও ৭ হাজার ৯৯৭ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ২৮ হাজার ৪৬৭ জন।
এ নিয়ে বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় মৃত্যু হলো ৪০ লাখ ৮ হাজার ৯৮১ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ কোটি ৫৩ লাখ ৮১ হাজার ২৮৩ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬ কোটি ৯৭ লাখ ২০ হাজার ৩৯৮ জন।
… [Trackback]
[…] Read More here to that Topic: doinikdak.com/news/33495 […]