বড় বোনকে ধর্ষণ ও হত্যার পর ছোট বোনকে ধর্ষণ করেছেন পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা দেবোত্তর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু হামিদ মোঃ চঞ্চল। এ অভিযোগ এনে চঞ্চলের বিচার চেয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। তবুও সুচিবার পায়নি বলে অভিযোগ তার। ওই ছাত্রী বিস্তারিত বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। চঞ্চল এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনের ওপর আস্থাহীনতার কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সঠিক বিচার ও তার জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছে । সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করার সময় তার বাবা উপস্থিত ছিলেন।লিখিত বক্তব্যে ওই শিক্ষার্থী জানান, তার বাড়ি পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায়। ২০১২ সালে যখন চঞ্চল স্থানীয় একটি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন, তখন তার বড় বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে বিয়ের কথা বলে পাবনা শহরে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে অজ্ঞাত এক বাড়িতে তাকে ধর্ষণ করেন চঞ্চল। সেদিন বাড়ি ফেরার পথে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়।সে সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন ওই মৃত্যুকে স্বাভাবিক বলে সবার ধারণা ছিল।
শোকাহত পরিবারটিকে সান্ত্বনা দিতে চঞ্চল প্রায়ই ওই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর বাড়িতে যাতায়াত করতেন। এক পর্যায়ে বড় বোনকে বিয়ে করতে না পারার কষ্টের কথা জানিয়ে ছোট বোন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। এভাবে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন প্রেম চলতে থাকে।
সম্প্রতি একই কায়দায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকেও পাবনায় বেড়াতে নিয়ে গিয়ে এক বাড়িতে ধর্ষণ করা হয় বলে জানান ওই ছাত্রী।সেই ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে বারবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে চাপ দেন। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর বড় বোনের কলেজের একটি ডায়েরি খুঁজে পায় তার পরিবার।সেটি পড়ে জানতে পারেন তার বড় বোনের খুনিও এ চঞ্চল। এ পরিস্থিতিতে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পাবনা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী।এর আগে আটঘরিয়া থানা থেকে তাকে ডেকে নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার জন্য চাপ দেওয়া হয়।
পাবনার পুলিশ সুপার তাকে জানিয়েছেন, বিষয়টির তদন্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় ২১ জুন বোন হত্যা ও ধর্ষণ এবং তাকে ধর্ষণের বিচার চেয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর আবেদন করেছেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আরও জানান, চঞ্চলের সঙ্গে তার বিয়ে না হলেও সম্প্রতি সুচতুর চঞ্চল তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন। সেই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে তাকে ও তার পরিবারকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।