লকডাউন চলাকালে ব্যাংক খোলা নাকি বন্ধ থাকবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারির পর। শুক্রবার (২৫ জুন) রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন। তিনি বলেন, ‘আগে প্রজ্ঞাপন জারি হোক, তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।’
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে সারাদেশে সাত দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। শুক্রবার (২৫ জুন) সন্ধ্যায় তথ্য অধিদফরের প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকারের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লকডাউন চলাকালে জরুরি সেবা ব্যতীত সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া জরুরি পণ্যবাহী ব্যতীত সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে শুধু যানবাহন চলাচল করতে পারবে। জরুরি কারণ ছাড়া বাইরে কেউ বের হতে পারবে না।
তবে গণমাধ্যম এর আওতামুক্ত থাকবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত আদেশ দিয়ে শনিবার (২৬ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
এদিকে লকডাউন চলাকালে ব্যাংক খোলা না বন্ধ থাকবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারির পর।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আগে প্রজ্ঞাপন জারি হোক, তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।’ তিনি বলেন, ‘সরকার শনিবার প্রজ্ঞাপন জারি করলে, প্রজ্ঞাপনে কী লেখা থাকে, সেটা দেখে তারপর বাংলাদেশ ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেবে।’
প্রসঙ্গত, এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বাত্মক বিধিনিষেধ জারির সময়ও ব্যাংক খোলা ও নাকি বন্ধ, তা নিয়ে ধুম্রজাল তৈরি হয়েছিল। সেই সময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা নির্দেশনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকও এক সপ্তাহের জন্য দেশের সব ব্যাংকের শাখা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সমালোচনার কয়েক ঘণ্টা পর ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।