ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:২০ পূর্বাহ্ন
ফুলগাজীতে ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন কনস্টেবল শাওন
ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীর ফুলগাজীর মুন্সীরহাট ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের এক কিশোরী চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। তৌহিদুল ইসলাম শাওন নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের ধর্ষণে ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়েছে মর্মে ফুলগাজী থানায় শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ওই কিশোরীর  মা।এরপর ফুলগাজী থানা পুলিশ শাওনকে গ্রেপ্তার করে।অন্য ৩ আসামী উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। এদিকে এজহারে ধর্ষণের উল্লেখিত তারিখ ও ডিএনএ টেস্টের প্রমাণ না পাওয়ায় পুলিশ কনস্টেবল শাওনকে ফেনীর জেলা ও দায়রা জজ জেবুন্নেছা জামিন দেন। ওই কিশোরীর বিরুদ্ধে চার বছর আগে অন্য একজনকেও ধর্ষণের মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে সাজানো মামলায় ৩ মাস ২৬ দিন জেল খেটে মুক্তি পেয়েছেন পুলিশ কনস্টেবল তৌহিদুল ইসলাম শাওন।

বুধবার বিকেলে শাওন ফেনী কারাগার থেকে মুক্তি ফেলে সেখানে এক আবেগগণ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এসময় স্বজনরা বাদির শাস্তি ও শাওনের চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবি করেন।

এদিকে বাদি পক্ষের আইনজীবী নূরুল আফসার মুকুল দাবি করেন ডিএনএ টেস্টে অসংগতি আছে। এছাড়া জন্মগ্রহণ করা সন্তানের প্রকৃত পিতাকে খুঁজে বের করার দাবি করেছেন তিনি।বর্তমানে ওই নারীর সন্তানকে দত্তক দিয়েছেন বলে এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে। একই নারীর আরেকটি সাজানো ধর্ষণ মামলায় ৩ বছর জেল খেটেছেন বলে অভিযোগ করেছেন নির্মাণ শ্রমিক আবুল মনসুর সোহরাব। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারীর বাবা আলী মর্তুজা বাবুল।

উল্লেখ্য গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ওই কিশোরীর মা কুসুম ফুলগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় বলা হয়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে তার সাথে সখ্যতা এবং একদিন ঘুরে বেড়ানোর কথা বলে ফেনী শহরের কোন একটি বাসায় নিয়ে ফলের জুসের সাথে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে আরও কয়েকবার ধর্ষণের শিকার হয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়ে সে।

এমামলায় অন্য আসামীরা হচ্ছে তার বাবা আমিনুল ইসলাম, মা শানু, মামা ফিরোজ আহম্মদ বাবু। এজহারে উল্লোখিত ধর্ষণের তারিখে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল চাকরিতে কর্মরত ছিলেন।

এছাড়া ডিএনএ টেস্টে শাওনের সাথে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যারকারণে ফেনীর জেলা ও দায়রা জজ জেবুন্নেছা জামিন দেন।

x