ঢাকার ধামরাইয়ের শ্রীরামপুরে প্রেমিকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিরুপায় হয়ে বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে গত তিনদিন ধরে অবস্থান করছেন ওই কলেজছাত্রী। তবে তাকে তার প্রেমিক সাইদুর রহমানসহ শারীরিক নির্যাতন করে পালিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ নিয়ে স্থানীয় মাতুব্বররা দফায় দফায় বৈঠক করেও আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত মিমাংসা করতে পারেনি।
জানা গেছে, ধামরাইয়ের শ্রীরামপুর (বর্তা) গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে গার্মেন্টকর্মী সাইদুর রহমানের (২৫) পাশের গাংগুটিয়া ইউনিয়নের এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে প্রায় আড়াই বছর ধরে প্রেমের সর্ম্পক। এ সময়ে সাইদুর রহমান বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিয়ের আশ্বাস ওই কলেজছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। গত এক সপ্তাহ ধরে সাইদুর রহমানকে বিয়ের কথা বললে সে টালবাহানা শুরু করে। পরে ওই কলেজছাত্রী বিয়ের দাবি নিয়ে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাইদুরের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান শুরু করে।
ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী জানান, বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সাইদুর আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। এখন আমাকে বিয়ে না করলে আমার আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
সাইদুরের মামা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার ভাগ্নে সাইদুরের সঙ্গে সম্পর্ক আছে শুনেছি। তবে বিয়ে করতে রাজি নয় সাইদুর।
গাংগুটিয়া ইউপি সদস্য ইন্তাজ আলী বলেন, বিষয়টি মিমাংসার জন্য দফায় দফায় চেষ্টা চলছে।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ধর্ষণের বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া