ঢাকা, বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩, ০৬:২৫ অপরাহ্ন
বাগেরহাটে প্রথমদিনের লকডাউন, কঠোর অবস্থানে প্রশাসন
বাগেরহাট প্রতিনিধি :

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বাগেরহাটে এক স্পতাহের লকডাউনের প্রথম দিন। লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) ভোর থেকে লকডাউন বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। অতি জরুরী প্রয়োজনে রাস্তায় এসে যানবাহন না পেয়ে বিপাকেও পড়েছেন অনেকে। হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে অনেককে।

সকালে বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাসস্টান্ড, ট্রাফিক মোড়, সাধণার মোড়, মিঠাপুকুরপাড়সহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট দেখা যায়। রোগী ও জরুরী পরিবহন ছাড়া অন্য যেকোন পরিবহনকে বাড়িতে ফিরিয়ে দিতে দেখা যায় পুলিশকে।

বাগেরহাট সদর উপজেলার পুটিমারি এলাকার বিউটি দাস বলেন, রাতে লকডাউনের খবর শুনেছি। মনে করেছি শুধু বাস বন্ধ থাকবে। কিন্তু বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখি রিকশা, অটো, মাহিন্দ্রা, ইজিবাইক সবই বন্ধ। তাই হেঁটেই রওনা দিয়েছি। কয়রা থানায় জরুরী কাজ, যেতেই হবে।

বাবা ও ভাইকে নিয়ে হেঁটে খুলনা রওনা দেওয়া শিহাব রহমান বলেন, দুইদিন আগে আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলাম। লকডাউন হওয়ায় খুব বিপদে পড়ে গেছি। তাই হেঁটে রওনা দিয়েছি। পথিমধ্যে যদি কোন বাহন পাই তাতে উঠে পরব।

বাসস্ট্যান্ড এলাকায় থাকা আজিজ, সুমন শরীফ, মো. আলিফসহ কয়েকজন ইজিবাইক চালক বলেন, রাস্তায় না বের হলে, গাড়ি না চালালে আমাদের চলে না। লকডাউনের সময় রিকশাচালক, ইজিবাইক চালক, মাহিন্দ্রা চালকসহ দিনমজুরদের খাদ্য সহায়তা দেওয়ার দাবি জানান তারা।

রিকশা চালক মো. আব্দুল কুদ্দুস বলেন, রিকশা না চালালে খাব কি। তাইতো রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। বুঝে শুনে চালাচ্ছি। যেসব জায়গায় পুলিশের চেকপোস্ট রয়েছে, তা এড়িয়ে চলছি।

এ বিষয়ে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে আমরা জেলার ১৩টি স্থানে চেকপোস্ট বসিয়েছি। রোগী এবং জরুরী কাজে ব্যবহৃত পরিবহন ছাড়া অন্য কোন পরিবহন চলতে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়াও পুলিশের ভ্রাম্যমাণ টিম কাজ করছে। যেসব মানুষ অতিপ্রয়োজনে রাস্তায় বের হয়েছে, তাদেরকে মাস্ক পড়া নিশ্চিত করতে পুলিশ কাজ করছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ আজিজুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে এবং সকল বিধিনিষেধ কার্যকর করার জন্য জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সকল উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। মানুষকে সচেতন করার জন্য মাইকিংও করা হচ্ছে।  মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x