ঢাকা, বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১০:৪৩ অপরাহ্ন
বরিশালে (ইউপি) নির্বাচনে সংঘর্ষ, বোমা হামলায় একজন নিহত
অনলাইন ডেস্ক

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ফলাফল ঘোষণার পর বোমা হামলায় এক যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের এই হামলায় আরও ১০ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্যপদে প্রার্থী হন খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস মৃধা। তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আরজ আলী সরদার। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ফলাফল ঘোষণার পরে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ঝগড়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

পরবর্তী সময়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে পরাজিত প্রার্থী আরজ আলীর সমর্থকেরা হামলা চালালে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় বোমা হামলায় বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থক আবু বকর ফকির (২৭) নিহত এবং কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।

বিজয়ী প্রার্থী গিয়াস মৃধা অভিযোগ করেন, সারা দিন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফল ঘোষণার পর আরজ আলী সরদারের নেতৃত্বে পার্শ্ববর্তী কালকিনি উপজেলার ভাড়াটে ৫০–৬০ জন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বোমা হামলা করতে করতে কেন্দ্রে এসে তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলা চালান। এতে আবু বকর ফকির (২৭), শাহিদা বেগম (৩৪), সফিক (৩২), সুমনসহ (২২) ৭ জন আহত হন। গুরুতর আহত আবু বকরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে আরজ আলী বলেন, ফলাফল ঘোষণার আগেই গিয়াস মৃধার সমর্থকেরা বোমা হামলা চালিয়ে কেন্দ্র থেকে তাঁদের বিতাড়িত করেন। এরপর কর্মকর্তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে ফলাফল নিজের অনুকূলে নেন। এতে তাঁর তিন সমর্থক আহত হন।

গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাফিউল আলম বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আবু বকর নামের একজনকে নিয়ে এলে তাঁকে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করা হয়। নিহতের শরীরে ও মাথায় রক্তাক্ত আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, তবে তা বোমা হামলায় কি না, পরীক্ষা ছাড়া বলা যাচ্ছে না।

পশ্চিম খাঞ্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত গৌরনদী মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ভোটকেন্দ্রের মধ্যে কোথাও সংঘাত বা সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। ফলাফল ঘোষণার পরে কেন্দ্রের বাইরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ও টরকী বন্দর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ব্রজেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, ফলাফল ঘোষণার আগে নয়, ফলাফল ঘোষণার পরে কেন্দ্রের বাইরে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠানের পর সঠিক নিয়মে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

এর আগে সোমবার দুপুরে খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এক প্রার্থীর চাচা নিহত এবং কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x