রংপুর মহানগরীর ৩২নং ওয়ার্ডের মিলনপাড়ায় বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে ছেলের হাতের লাঠির আঘাতে বাবা নিহত হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রংপুর নগরীর মিলন পাড়ায় বাদশা মিয়া(৬০), পিতা-মৃত বশির উদ্দিন ও তার ছেলে ঝন্টু মিয়া (৩২) পারিবারিক কলহের জেড়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে, হাতাহাতির এক পর্যায়ে ছেলে ঝন্টু লাঠি দিয়ে বাবাকে আঘাত করে এতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠির আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। বাদশা মিয়ার অবস্থা বেঘটিক দেখে ঝন্টু মিয়া পালিয়ে যায়।
পাশের প্রতিবেশী শব্দ শুনে বের হয়ে বাদশা মিয়ার বাসার কাছে গিয়ে দেখে বাদশা মিয়া মাটিতে পড়ে আছে। প্রতিবেশির চিৎকারে আশপাশের লোক উপস্থিত হয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহবুব মোর্শেদ শামীমকে অবগত করেন। পরে কাউন্সিলর উপস্থিত হয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মেডিকেলে পাঠানোর পরামর্শ দেয়। পরে কাউন্সিলর এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বাদশা মিয়াকে মেডিকেলে পাঠালে মেডিকেলের কর্মরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
এলাকাবাসী আরোও জানান, ঝন্টু একজন নিয়মিত মাদকসেবী। প্রায় সময় ঝন্টু তার বাবাকে টাকা পয়সার জন্য ঝগড়াঝাঁটি ও মারামারি করত। আজ রাতেও একই ঘটনা ঘটলে বাদশা মিয়া গুরুতর আহত হয়।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহবুব মোর্শেদ শামীম জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে আমি জানতে পেরে ঘটনা স্থলে যাই। গিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে বাদশা মিয়াকে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় রংপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়।
মেডিকেলের ডাক্তার রাতে বাদশা মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে তাজহাট মেট্রোপলিটন থানার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত চলমান রয়েছে।