ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ভিজিডি কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে বস্তা পরিবর্তন করে পাচারের সময় হ্যান্ড ট্রলিসহ ১৩শ’ কেজি চাল জব্দ করেছে পুলিশ।
বুধবার সকালে উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একশ গজ দূরে নৌকা ঘাটে ট্রলিসহ এ চাল জব্দ করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার গোয়ালনগর ইউনিয়নের ১২৭ জন হতদরিদ্র নারীদের মধ্যে ভিজিডি কর্মসূচির তিন হাজার আটশ’ কেজি চাল বিতরণ করার কথা। কিন্তু সব চাল বিতরণ না করে কালোবাজারির কাছে ১৩শ’ কেজি চাল বিক্রি করে দেয়।
বুধবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদের কাছে নৌকা ঘাটে গোয়ালনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা মমিন মিয়া ও শফিকুল মিয়া মিলে সরকারি বস্তা পরিবর্তন করে। বিষয়টি স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে নৌকাঘাটে যায়। তখন চাল পাচারকারী মমিন মিয়া, শফিকুল মিয়া ও নাসিরনগরের একজন চাল ব্যবসায়ী স্থানীয়দের দেখে পালিয়ে যান। এ সময় একটি হ্যান্ড ট্রলিসহ ৪৪ বস্তা চাল জব্দ করে স্থানীয়রা। পরে স্থানীয়রা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে পুলিশ গিয়ে জব্দ করা চাল উদ্ধার করে।
গোয়ালনগর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আজিলক মিয়া জানান, ইউনিয়ন পরিষদের কাছে প্রকাশ্যে সরকারি বস্তা পরিবর্তন করে চাল পাচার করছিল কয়েকজন। আমি এগিয়ে গেলে তারা পালিয়ে যায়। পরে আমি বিষয়টি গ্রামবাসীকে জানালে সবাই মিলে চাল জব্দ করি। উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানালে তারা পুলিশ পাঠায়।
এ বিষয়ে গোয়ালনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজহারুল হক বলেন, আমি বাড়িতে নেই। শুনেছি গোয়ালনগর ইউনিয়নের মমিন মিয়া ও শফিকুল মিলে উপকার ভোগীদের কাছ থেকে চাল কিনে নাসিরনগরের এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করার সময় স্থানয়ীরা চাল জব্দ করে। পরে আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হালিমা খাতুন সমকালকে বলেন, গোয়ালনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চাল আটকের বিষয়ে ফোন করে আমায় জানায়। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।