সুবিধাবঞ্চিত দেশের দুর্গম পার্বত্য এলাকার জনগণ সৌর বিদ্যুতের পাশাপাশি এবার টেলিযোগাযোগ সুবিধা পেতে যাচ্ছে।
‘টেলিযোগাযোগ সুবিধা বঞ্চিত এলাকাসমূহে ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি স্থাপন (কানেক্টেড বাংলাদেশ)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১ কোটি ৯৬ লাখ ১২ হাজার টাকা।
সূত্র জানায়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পটি বর্তমান সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার দেশব্যাপী সুদৃঢ়, আধুনিক এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) অবকাঠামো প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। এ লক্ষ্যে সারাদেশে আইসিটি নেটওয়ার্ক স্থাপন কার্যক্রম অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, গত ২০১৮ সালের ১০ জুলাই ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রির সভাপতিত্বে ডাক ও টেলিযোগাযোগ নীতিমালা ২০১০ ও সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল বিধিমালা ২০১৪-এর আওতায় গঠিত সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল ব্যবস্থাপনা কমিটি’র ৪র্থ সভায় প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়।
প্রকল্পটি ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল’ এর অর্থায়নে ৪৭৬ কোটি ৭ লাখ ১০ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে এবং ২০১৮ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদিত হয়েছিলো। গত ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর তারিখ প্রকল্পের মেয়াদ ২ বছর বাড়ানোর প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ০১ জুলাই ২০১৮ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর (২ বছর) পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে । গত ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর তারিখ প্রকল্পের ডিপিপি’র প্রথম সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে । ডিপিপি’র ১ম সংশোধনীর ফলে প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ৫০৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা অনুমোদিত হয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় দেশের ৮টি বিভাগের অন্তর্গত ৬১৭টি দুর্গম ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় পার্বত্য অঞ্চলের ৩টি জেলার (বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি) মোট ৫৯টি ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে। প্রকল্পের সংশোধিত ডিপিপি ও অনুমোদিত বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা অনুযায়ী সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কাজ সম্পাদনের ক্রয় প্রক্রিয়াকরণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কাজটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সম্পাদনের বিষয়ে প্রকল্পের পিআইসি’র ৬ষ্ঠ ও পিএসসি’র ৬ষ্ঠ সভায় সিদ্ধান্ত হয়। বর্ণিত কাজের জন্য সংশোধিত ডিপিপি-তে ১৫ কোটি ৯৬ লাখ ১২ হাজার টাকা বরাদ্দ আছে।
এ প্রকল্পের আওতাভুক্ত পার্বত্য অঞ্চলের ইউনিয়নসমূহ অতিদুর্গম বিধায় নিরাপত্তা ঝুঁকি ও পারিপার্শ্বিক প্রতিবন্ধকতার কথা বিবেচনা করে কাজটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী’র মাধ্যমে সম্পাদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করা হবে।