শনিবার রাত থেকে টানা বৃষ্টিপাতে রীতিমত থৈ থৈ পানিতে ভাসছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। তীব্র জলাবন্ধতায় আটকা পড়ে নরক যন্ত্রনা ভুগছেন নগরীর লাখো মানুষ।
রোববার (৬ জুন) সকাল থেকে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় নগরীর নতুন নতুন এলাকা পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে, পাহাড় ধসের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে পাহাড়বেস্টিত জনবসতি এলাকায়।
শনিবার (৫ জুন) গভীর রাত থেকে চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। সকাল ৯টার পর থেকে বর্ষণ তীব্র আকার ধারণ করে। সকাল ১০টায় এই রিপোর্ট লেখার সময় চট্টগ্রাম নগরী ও জেলার বিভিন্ন উপজেলাসমূহে তীব্র বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। এই বর্ষণের ফলে চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, চান্দগাঁও, চকবাজার, দুই নম্বর গেইট, বাকলিয়া, দামপাড়া ওয়াসা, খাতুনগঞ্জ, আগ্রাবাদসহ নগরীর প্রায় ২০টি পয়েন্টে কোথাও হাঁটু পানি কোথাও কোমর পানিতে ডুবে গেছে। জলাবদ্ধতার কারণে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় যানবাহন চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে। সকাল থেকে অফিসগামী কিংবা কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বের হওয়া লাখো মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন।
নগরীর মুরাদপুর এলাকার বাসিন্দা সাব্বির আলম জানান, সকাল ৯টা থেকেই পুরোপুরি জলাবদ্ধ পুরো মুরাদপুর এলাকা। এই এলাকা এখন হাঁটু সমান পানিতে নিমজ্জিত। যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।
চকবাজার এলাকার ব্যবসায়ী আহসান চৌধুরী জানান, বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধ হয়ে যায় পুরো চকবাজার এলাকা। যথারীতি আজকেও একই অবস্থা। ব্যবসা বাণিজ্য পুরোপুরি বন্ধ। আমরা এখন হাঁটু সমান জলের মধ্যে বসে আছি।
নগরীর খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলম জানান, বৃষ্টি আর জোয়ার আমাদের জন্য রীতিমত অভিশাপ। আমাদের থৈ থৈ পানিতে ভাসতেই হয়। নষ্ট হয় লাখ লাখ টাকার পণ্য। শনিবার রাত থেকে বৃষ্টিপাতের ফলে খাতুনগঞ্জে পানি উঠেছে। এখন সেই পানিতেই আমরা ভাসমান।
সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে জলাবদ্ধতার কারণে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো হাঁটু পানিতে ডুবে যাওয়ার নগরবাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই। কোনো যানবাহন চলাচল না করায় রিকশা ও ভ্যানে করে মানুষ গন্তব্যে পৌঁছানের চেষ্ঠা করে। সুযোগ বুজে রিকশাচালকরাও ২০ টাকার ভাড়া ১০০ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয়।
চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৬১.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
Leave a Reply