নাশকতা ও ধর্ষণের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁ থানায় দায়েরকৃত পৃথক ছয়টি মামলায় ১৮ দিনের পুলিশ রিমান্ড শেষে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (৫ জুন) কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওছার আলমের আদালত শুনানি শেষে তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ছয় মামলার মধ্যে তিনটি করেছে জেলা পুলিশ, দুটি করেছে সিআইডি এবং একটি করেছে পিবিআই। পিবিআইয়ের করা মামলায় গত বুধবার সর্বশেষ মামুনুল হককে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
এর আগে নাশকতা ও ধর্ষণের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা আরও পাঁচটি মামলায় আদালতের আদেশে তিনদিন করে মোট ১৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে জেলা পুলিশ। প্রত্যেক মামলায় পৃথক তদন্ত কর্মকর্তা তাকে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
নারায়ণগঞ্জে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়ের করা ছয়টি মামলার মধ্যে চারটি মামলা হরতালে নাশকতার অভিযোগে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা হয়। অপর দুইটি মামলা দায়ের হয় ২ এপ্রিল সোনারগাঁওয়ে রয়েল রিসোর্টে মামুনুলের নারী কেলেঙ্কারি ইস্যুতে হেফাজত নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নাশকতা ও তাণ্ডব সৃষ্টির ঘটনায়। এর মধ্যে একটি মামলায় মামুনুলকে নাশকতার নেতৃত্ব দাতা হিসেবে আসামি করা হয়। অপর মামলায় মামুনুলের বিরুদ্ধে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে রিসোর্টে আটকে রেখে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ করেন তার দ্বিতীয় কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।
Leave a Reply