‘সিলেটে টিকটক ও লাইকি ভিডিওর ফাঁদে ফেলে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা’ শিরোনামে সম্প্রতি বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এ নিউজের সঙ্গে ভিন্নতা প্রকাশ করছেন অভিযুক্ত ফান্নির পরিবার ও তার বন্ধুমহল। তাদের দাবি- সোনিয়া ধর্ষিত হননি। সে তার রূপের ফাঁদে ফেলে ফান্নির সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিল।
ফান্নির পরিবার ও তার বন্ধুমহল বলছেন, প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে- ইমন নামের এক যুবকের সঙ্গে সোনিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। সে ইমনের সঙ্গে ইমুতে অশ্লীলভাবে চ্যাট করতো। এসব ছবি ইমন সেসময় স্ক্রিনশর্ট দিয়ে নিজের মোবাইলে সংরক্ষিত রাখে। পরবর্তীতে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটলে ইমন এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে। সোনিয়া গত ঈদের ৩/৪ দিন পর ইমনের সঙ্গে সম্পর্ক ও বিচ্ছেদের বিষয়ে কথা বলতে ফান্নির সাথে দেখা করতে তার বাসায় যায়। এসময় মামলায় উল্লেখিত আসামি অভিনেত্রী লিজা উপস্থিত ছিলো বলে উল্লেখ থাকলেও মূলত লিজা সেখানে ছিলো না।
এরপর সোনিয়া ফান্নির অজান্তে তার বেডরুম সহ বাসার ভিডিও করে এবং ফান্নির সঙ্গে স্বেচ্ছায় দৈহিক সম্পর্ক করে। পরবর্তীতে ফান্নিকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং তার কাছে নগদ ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে সোনিয়া। ফান্নি এতে অপারগতা প্রকাশ করে। এতে সোনিয়া ক্ষিপ্ত হয় এবং তার প্ররোচণায় তার পিতা কামাল হোসেন বাদি হয়ে গত ১ জুন শাহপরাণ থানায় ফান্নি ও অভিনেত্রী লিজাকে অভিযুক্ত ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ শাহপরাণ থানাপুলিশ সংগ্রহ করেছে। এতে তাকে জোরপূর্বক নিয়ে আসার কোনো আলামত খোঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।
ফান্নি ও লিজার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক এমন নিউজ এবং অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছেন ফান্নির পরিবার ও বন্ধুমহল।
Leave a Reply