সীমান্তের জেলাগুলোতে দ্রুত লকডাউন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন আগামী তিন মাসে চীন থেকে দেড় কোটি ডোজ টিকা আসবে। এই টিকায় অগ্রাধিকার পাবে শিক্ষার্থীরা।
দেশে করোনার সার্বিক সংক্রমণ কিছুটা কমিতর দিকে থাকলেও ভয় জাগাচ্ছে সীমান্তবর্তী জেলাগুলো। সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের পরও চাপাইনবাবগঞ্জের সংক্রমণ ৪৩ শতাংশ।
সীমান্তের বাকি আট জেলাতেও আছে সংক্রমণ বাড়ার প্রবণতা। যদিও চাপাইনবাবগঞ্জ ছাড়া নতুন করে আর কোন জেলায় এখনও লকডাউন ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু সংক্রমণ বাড়ার তালিকায় থাকা সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে কঠোর লকডাউনের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রয়োজনে জেলাগুলোর অতি সংক্রমিত এলাকায় গুচ্ছ গুচ্ছে লকডাউনের নির্দেশনাও জানানো হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব জানিয়েছেন, এনিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় কাজ করে যাচ্ছে। শিগগিরই নির্দেশনা পাঠানো হবে জেলাগুলোতে।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে চীনের টিকা আসার দিনক্ষনও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বলেন জুন জুলাই ও আগষ্টে ৫০ লাখ করে মোট দেড় লাখ টিকা আসবে। মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই টিকায় অগ্রাধিকার দেয়া হবে। তারপরই খুলবে উচ্চ শিক্ষাঙ্গন।
মন্ত্রী জানান, প্রথম দফায় দেশের মোট পাঁচ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনতে চায় সরকার। সে জন্য দরকার ১০ কোটি ডোজ টিকা। পর্যায়ক্রমে এই টিকার জোগান নিশ্চিত করবে সরকার।