ঢাকা, বুধবার ০১ মে ২০২৪, ০৭:৩১ অপরাহ্ন
কক্সবাজারের সকল পর্যটন কেন্দ্রগুলো আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ
Reporter Name

করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সমুদ্র সৈকত সহ কক্সবাজারের সকল পর্যটন কেন্দ্রগুলো আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। তবে হোটেল মোটেল রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি আর গাইডলাইন মেনে তাদের ব্যবসা করতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাত পৌণে ৯টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ।

মামুনর রশিদ বলেন: দেশে করোনা সংক্রমণের হার আশংকাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে একটি নির্দেশনা পৌঁছায়। কক্সবাজারের সকল পর্যটন কেন্দ্রগুলো আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক বলেন: সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে ট্যুরিস্ট পুলিশসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের তাৎক্ষণিকভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর যে বা যারা নির্দেশনা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক বলেন: যেহেতু হোটেলে শুধু মাত্র পর্যটক থাকে না। জেলার অন্য উপজেলা থেকে আসা জেলা সদরে চিকিৎসা সহ নানা কারনে আসা লোকজন ও হেটেলে থাকে। তাই এগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখবে। হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে। তাদেরকে স্বাস্থ্য বিধি আর গাইড লাইন মেনে ব্যবসা করতে হবে।

অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের আনাগোনা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ।

মহিউদ্দিন বলেন: সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পাওয়ার পরপরই ট্যুরিস্ট তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। এরপর থেকে ঘুরতে আসা পর্যটকদের সৈকতে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি সৈকতের বিনোদন ছাতা (কিটকট), বিচ-বাইক ও জেটস্কি সহ সব ধরণের পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

পাশাপাশি সমুদ্র সৈকতসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নজরদারি রাখতে ট্যুরিস্ট পুলিশের টহলও জোরদার করা হয়েছে বলে জানান ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ।

এর আগে করোনা মহামারির কারণে গত বছর ১৮ মার্চ থেকে কক্সবাজারের সকল পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করেছিল প্রশাসন। পরবর্তীতে গত বছর ১৭ আগস্ট থেকে স্বাস্থ্যবিধিসহ নানা নির্দেশনা মানার শর্তে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x