করোনা সংকটেও রেমিট্যান্সে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। সদ্য সমাপ্ত মার্চ মাসে প্রবাসীরা ১৯১ কোটি ৬৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে) প্রায় ১৬ হাজার ২৯১ কোটি ১০ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১২৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। অর্থাৎ গত বছরের মার্চ থেকে চলতি বছরের মার্চে প্রায় ৬৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স বেশি এসেছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত রেমিট্যান্সের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা বৈধ পথে তথা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে। এছাড়া করোনায় অনিশ্চয়তার কারণে প্রবাসীরা জমানো টাকা দেশে পাঠিয়েছেন। এসব কারণে রেমিট্যান্স বাড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৮৬০ কোটি ৩৮ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৫৮ হাজার কোটি টাকা)। গত বছরের এই ৯ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৩৭৭ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। অর্থাৎ এক্ষেত্রে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৫ দশমিক ১০ শতাংশ।
তবে চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে আসা এই ১ হাজার ৮৬০ কোটি ৩৮ লাখ ডলার গত পুরো অর্থবছরের রেমিট্যান্সের চেয়েও বেশি। গত অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৮২০ কোটি ডলার।
রেকর্ড রেমিট্যান্স আসায় ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। সবশেষ ১৬ মার্চ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ছিল ৪৩ দশমকি ০৯ বিলিয়ন বা চার হাজার ৩০৯ কোটি ডলারে বেশি।
এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রবাসী আয়ের এ ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকার জন্য সরকারের প্রবাসী আয় পাঠানোর নিয়মকানুন সহজ করে দেয়া, সময়োপযোগী ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সংস্কারমুখী পদক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের এ অর্জন দিন দিন বেড়েই চলেছে, আমাদের প্রত্যাশা এটি আরো বাড়বে। এ বিষয়ে সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে এসেছে। কাউকে হয়রানি করা হয়না, সময়মত এর উপকারভোগীর হাতে পৌছে যায়- যার কারণে এটি দিন দিন বেড়েই চলেছে এবং বাড়তেই থাকবে, ইনশাআল্লাহ।