দেশের শীর্ষ ওষুধ প্রস্তুতকারক ও বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস। আর গুটিকয়েক যে কয়টি প্রতিষ্ঠান দেশেই টিকা উৎপাদন ও সরবরাহ করতে সক্ষম, ইনসেপ্টা সেগুলোর মধ্যেও এগিয়ে। মাসে তিন-চারদিনের উৎপাদন কার্যক্রম দিয়েই চাহিদা পূরণ করতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে তাদের সক্ষমতার ৯০ শতাংশই পড়ে থাকছে অব্যবহূত। অব্যবহূত এ সক্ষমতা কভিড-১৯-এর টিকা উৎপাদনে ব্যবহার করা সম্ভব বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর বাইরে করোনার টিকা উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে দেশের আরো দুটি প্রতিষ্ঠানের। ইনসেপ্টা, পপুলার ও হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস—এ তিন প্রতিষ্ঠান মাসে দেড় কোটি ডোজ কভিডের টিকা উৎপাদনে সক্ষম।
খাতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে কভিড-পূর্ব পরিস্থিতিতে বছরে টিকার বাজার ছিল ২০০-২৫০ কোটি টাকার। দেশে টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতায় ভিন্নতা রয়েছে। এর একটির প্রক্রিয়া শুরু হয় স্থানীয়ভাবে উৎপাদন পর্যায় থেকে। আর অন্যগুলোর ক্ষেত্রে আমদানিনির্ভর, যারা ফিলিং ও টেস্টিংয়ের পর টিকা বাজারজাত করতে পারে।
স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন করে বাজারজাতের সক্ষমতা রয়েছে শুধু ইনসেপ্টার। পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস টিকা সরবরাহ করতে পারে। প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদনের ধাপ শুরু হয় ফিলিং থেকে। পরের ধাপে টেস্টিংয়ের সক্ষমতা রয়েছে তাদের। সর্বশেষ গত বছর টিকা সক্ষমতা গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শেষ করেছে হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।
কভিড-১৯ প্রতিরোধে বর্তমানে দেশে গণটিকাদান কর্মসূচি চলছে। ব্রিটিশ কোম্পানির উদ্ভাবিত টিকাটি আন্তর্জাতিক চুক্তির আওতায় আমদানি করা হচ্ছে ভারত থেকে। তবে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ এখনো নিশ্চিত হয়নি। এ প্রেক্ষাপটে বিকল্প উৎস থেকেও টিকা আমদানির চেষ্টা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি দেশেই উৎপাদনের সম্ভাব্যতাও যাচাই করছে সরকার। এক্ষেত্রে তিনটি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা আছে বলে জানিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
দেশে চলমান গণটিকাদান কর্মসূচির মধ্যেই টিকার সংকট শুরু হয়। এতে বিকল্প বিভিন্ন উেসর সঙ্গে যোগাযোগ করছে সরকার। দেশে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের জন্য এরই মধ্যে আরো দুটি টিকার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সেসব দেশ থেকে টিকা কিনে আনার পাশাপাশি নিজ দেশেও উৎপাদনের কথা ভাবছে সরকার।
স্থানীয়ভাবে টিকার পূর্ণ উৎপাদন সম্ভব কিনা জানতে চাইলে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মুক্তাদির বণিক বার্তাকে বলেন, আমরা সেই চেষ্টা করেছি। সরকারও আমাদের জন্য লিখেছে, আমরাও লিখছি। এখন পর্যন্ত সেটা হয়নি। এখনই দুটি বা তিনটি কোম্পানি তাতে সম্মতি দিলেও সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদনে যেতে পারছি না। টিকা উৎপাদন শুরু করতে সময় লাগবে দু-তিন মাস। এরপর টিকা পরীক্ষা করে ছাড় প্রক্রিয়ায় ন্যূনতম ১৪-১৫ দিন সময় লাগে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২০-২১ দিন পর্যন্তও সময় লাগতে পারে। সব মিলিয়ে সাড়ে তিন মাস বা চার মাস যদি সময় লাগে, সে পর্যন্ত বসে থাকার কি সময় আছে?
বর্তমানে হেপাটাইটিস-বি, টিটেনাস, অ্যান্টি-রেবিসসহ কয়েকটি টিকা উৎপাদন ও বাজারজাত করছে সক্ষমতা থাকা ব্যক্তি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো। কভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকা উৎপাদনের ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা মাসে দেড় কোটি ডোজ। এর মধ্যে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস প্রতি মাসে ৮০ লাখ ডোজ উপাদন করতে পারবে। হেলথকেয়ার পারবে ৫০ লাখ ডোজ। আর মাসে ২০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করতে পারবে পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস।
বর্তমানে উৎপাদন অব্যাহত রাখার পরও প্রতি মাসে ২০ লাখ ডোজ করোনার টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালসের রয়েছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির উপবিক্রয় ব্যবস্থাপক মো. মিজানুর রহমান বিশ্বাস। তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমাদের যে সক্ষমতা রয়েছে তাতে প্রতি মাসে ২০ লাখ ডোজ উৎপাদন করতে পারব। এর সঙ্গে সরকারের সহযোগিতা পেলে তা ৫০ লাখে নেয়া সম্ভব। এ টিকা উৎপাদনে গেলে চলমান উৎপাদন ব্যাহত হবে না।’ উৎপাদনের পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্নের সক্ষমতা পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালসের রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করতে পারবে বলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে জানিয়েছে। ২০২০ সালের শেষ নাগাদ টিকার সক্ষমতা গড়ে তোলার প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে। কভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাব শুরুর ন্যূনতম দুই বছর আগে টিকা উৎপাদন সক্ষমতা গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়। বর্তমানে হেলথকেয়ারের টিটি ও হেপাটাইটিস-বি টিকা বাজারে সরবরাহ হচ্ছে।
হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজের (বাপি) ট্রেজারার মুহাম্মদ হালিমুজ্জামান বণিক বার্তাকে বলেন, টিকার বিষয়টি দেখভাল করছে সরকার। সরকার চাইলে আমরা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
টিকা উৎপাদনে সক্ষম প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্ণধারদের সঙ্গে আলোচনায় তারা জানিয়েছেন, টিকা নিশ্চিত করতে জোর চেষ্টা করছে সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে ব্যক্তি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে অনুমোদিত টিকার অংশীদার খোঁজ করতে। সেই চেষ্টা করছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
ঔষধ প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত ৮ জানুয়ারি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন দেয়া হয়। সেরামের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী টিকা সরবরাহ নিশ্চিত না হওয়ায় গত ২৭ এপ্রিল রাশিয়ার মস্কোর গামালিয়া ইনস্টিটিউটের তৈরি স্পুটনিক-ভি ও ২৯ এপ্রিল চীনের বেইজিং ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রডাক্টের উৎপাদিত সিনোফার্মের টিকাকে জরুরি প্রয়োগের অনুমোদন দেয়া হয়। এসব টিকা আমদানির পাশাপাশি সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের বিষয়ে পরিকল্পনা করছে। সরকার স্থানীয়ভাবে টিকা উৎপাদনে ডেভেলপারদের সহায়তা দিতে অথবা টিকা উদ্ভাবকদের সঙ্গে যৌথ উৎপাদনে যাবে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান জানান, দেশে টিকা আমদানি করার পর এর মূল্য কেমন হবে তা সরকার নির্ধারণ করবে। এসব টিকা আমদানি করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তি হবে। এর মধ্যে কোনো তৃতীয় পক্ষের অংশগ্রহণ থাকবে না। আমদানি ছাড়াও স্পুটনিক-ভি ও সিনোফার্মের টিকা দেশে উৎপাদনের জন্য এরই মধ্যে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে অথবা কাঁচামাল নিয়ে এসে বাংলাদেশের ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিতে টিকা উৎপাদন করা যাবে। সুত্র
… [Trackback]
[…] Info to that Topic: doinikdak.com/news/12542 […]
… [Trackback]
[…] Info to that Topic: doinikdak.com/news/12542 […]
buy lasuna online – diarex usa order himcolin generic
buy besivance cheap – carbocysteine generic sildamax for sale online
cheap gabapentin pill – order ibuprofen 400mg pills buy generic azulfidine 500 mg
benemid 500mg price – order carbamazepine online cheap buy tegretol without prescription
buy generic celecoxib over the counter – buy celebrex for sale oral indomethacin 50mg
mebeverine order online – purchase cilostazol buy cilostazol 100mg sale
order voltaren 50mg pill – diclofenac 50mg canada aspirin buy online
purchase rumalaya generic – order rumalaya for sale how to get amitriptyline without a prescription
mestinon uk – buy imitrex pills azathioprine 25mg pill