ঢাকা, সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন
ভারতে ১০ দিনে আক্রান্ত ৩৩ লাখ, মৃত্যু ২৬ হাজার
Reporter Name

করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারতে দাবানলের মতো ছড়াচ্ছে ভাইরাসটি। শেষ ১০ দিনে এর ভয়ঙ্কর চিত্র উঠে এসেছে। এই সময়ে দেশটিতে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৩৩ লাখ ১০ হাজার ৩২৯ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ১৯ জনের।

ভয়াবহ এই পরিস্থিতির শেষ দিনের চিত্র আরও নাজুক। আগের সব রেকর্ড ভেঙে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৪৫৯ জন আক্রান্ত হয়েছে। একদিনে মৃত্যুর নতুন রেকর্ড ৩ হাজার ৬৪৭ জন।

ওয়ার্ল্ডোমিটার্স ডট ইনফো-এর পরিসংখ্যান বলছে, গত ১৯ এপ্রিলে দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছিল ২ লাখ ৫৬ হাজার ৯৪৭ জন। সেদিন মৃত্যু হয়েছিল ১ হাজার ৭৫৭ জন। তার একদিন পরেই আক্রান্ত এবং মৃত্যু দুইটাই বাড়তে শুরু করে। ২০ এপ্রিল আক্রান্ত ২ লাখ ৯৪ হাজার২৯০ জন আর মৃত্যু হয় ২ হাজার ২০ জন।

২১ এপ্রিল থেকে টানা ৮ দিন ভারতে ৩ লাখের ওপরে শনাক্তের রেকর্ক করা হচ্ছে। সেদিন দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজারের বেশি, মৃত্যু ২ হাজার ১০২ জন। ২২ এপ্রিল আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩ লাখ ৩২ হাজার ৫০৩ জন, মৃত্যু ২ হাজার ২৫৬ জন। ২৩ এপ্রিল করোনার সংক্রমণ আরও বাড়তে থাকে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ১৪৭ জন আক্রান্ত হয়, মৃত্যু ২ হাজার ৬২১।

একদিন পর ২৫ এপ্রিল আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ ছাড়িয়ে যায় (৩ লাখ ৫৪ হাজার ৫৩১ জন)। মৃত্যু হয় ২ হাজার ৮০৬ জনের। তবে ২৬ এপ্রিল আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমলেও মৃত্যু বাড়তে থাকে। সেদিন আক্রান্ত হয় ৩ লাখ ১৯ হাজার ৪৩৫ জন, মৃত্যু ২ হাজার ৭৬৪ জন।

২৭ এপ্রিল করোনার ভয়াবহভাবে আগের সবকিছুকে ছাড়িয়ে যায়। এইদিন আক্রান্ত শনাক্ত হয় ৩ লাখ ৬২ হাজার ৯০২ জন। প্রথমবারের মতো মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়ায় তিন হাজারের (৩ হাজার ২৮৫) গন্ডি।

গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে আগের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলে করোনাভাইরাস। আক্রান্ত শনাক্ত হয় ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৪৫৯ জন। মৃত্যু হয় ৩ হাজার ৬৪৭ জনের।

দেশটির এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি পুরো বিশ্বকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। ভারতে এখন পর্যন্ত মোট ১ কোটি ৮৩ লাখ ৬৮ হাজার ৯৬ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২ লাখ ৪ হাজার ৮১২ জন।

মোট সংক্রমণে বিশ্বে ভারতের অবস্থান বর্তমানে দ্বিতীয়। তবে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছে, যেভাবে দেশটিতে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাচ্ছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। এরপর রয়েছে কেরালা, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ ও দিল্লি।

ভারতে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৪ কোটির বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় এনডিটিভির প্রতিবেদনে।

গত বছরের ৩০ জানুয়ারি ভারতে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, মোট সংক্রমণে বিশ্বে ভারতের অবস্থান দুই নম্বরে। ভারতের আগে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও পরে ব্রাজিল।

x