ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন
নাটোরের গুরুদাসপুরে সাথী ফসল বাঙ্গিতে বাম্পার ফলন কৃষকের হাসি
Reporter Name

শরিফুল ইসলাম.গুরুদাসপুর(নাটোর): নাটোরের গুরুদাসপুরে বিনাচাষে রসুন আবাদের পর সাথী ফসল বাঙ্গি,তরমুজ ও মিষ্টি কুমড়া চাষে সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা। এবছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। এই এলাকার সাথী ফসল আকারে যেমন বড় তেমন মিষ্টি ও সুস্বাসু হওয়ায় বাজারে এর কদরও প্রচুর।

শষ্য ভান্ডার খ্যাত নাটোরের গুরুদাসপুরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া হাটিকুমরুল মহাসড়কের দুই পাশ্বসহ উপজেলার অধিকাংশ এলাকা জুড়ে ব্যাপক সাথী ফসলের আবাদ হয়েছে। উপজেলার চরকাদহ,শিধুলি পাঁচশিশা ও নয়াবাজার রোড সংলগ্ন সবুজ বিস্তীর্ণ মাঠের চারদিক তাকালে দেখা মিলে বাঙ্গি,তরমুজ ও মিষ্টি কুমড়ার ফুল ও ফল। মাঠের ফসল রক্ষায় পরিচ্চর্যার ব্যস্ত কৃষকরা। গাছের সবুজ পাতার আড়ালে ধরে থাকা বাঙ্গি,তরমুজ ও মিষ্টি কুমড়া যেন এক অপরুপ দৃশ্য ধারন করেছে। ইতিমধ্যে কৃষকরা জমিতে উপযুক্ত এসব সাথী ফসল বাজারজাতকরনে তুলতে শুরু করেছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে গুরুদাসপুরে এবছর জমিতে বাঙ্গি ৭২০ হেক্টর, তরমুজ ৫৫৫ হেক্টর ও মিষ্টি কুমড়া ২৫ হেক্টর সাথী ফসলের আবাদ হয়েছে। যা গত কয়েক বছরের তুলনায় রেকর্ড পরিমাণ আবাদ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন। ফসলের ফলন ভাল হওয়ায় বাঙ্গিতে ২২হাজার মেট্রিক টন,তরমুজ ২৩হাজার মেট্রিক টন ও মিষ্টি কুমড়ায় ১৭৫ মেট্রিক টন উৎপাদিত লক্ষমাত্রা নির্ধারন ধরা হয়েছে।
কৃষকরা জানান,রসুন চাষের পর রসুন গাছ একটুকু বড় হওয়ার পরপরই গাছের ফাঁকে ফাঁকে বাঙ্গি,তরমুজ ও মিষ্টি কুমড়ার বীজ  লাগাতে হয়। সাথী এসব ফসলের জন্য বাড়তি সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। রসুন উঠার পরপরই এসব সাথী ফসলের গাছ উপস্থিত হয়ে ফুল আসতে শুরু করে। এবছর বাঙ্গি ও তরমুজের ফলন ভাল হয়েছে। রমজান মাসে বাজারে এসব ফলের চাহিদা থাকায় দামও ভাল পাচ্ছি। তাতে রসুনের চাষের খরচ উঠে বাড়তি লাভ হবে। কৃষকরা আরও জানান,গতবছর বিঘা প্রতি ৪০হাজার থেকে ৫০হাজার টাকা বিক্রি করলেও এবছর ৮০হাজার খেকে ৯০হাজার টাকা পযর্ন্ত বিক্রি হ্েচ্ছ

শ্রমিকরা জানান,সকাল ৭টায় এসে বিকাল ৪টায় কাজ শেষ করি। প্রতিদিন কাজ শেষে মজুরি ৪০০ থেকে ৫০০টাকায় পাই। তাতেই আমাদের সংসার ভাল ভাবে চলে যায়।
বেপারিগণ জানান,দেশজুড়ে এফসলের সুনাম থাকায় আমরা প্রতিবছরই এখানে আসি। কিন্তÍু এবছর করোনা,লকডাউন ও গাড়ি ভাড়া বেশি হওয়ায় মাল কিনে বাইরে বিক্রি করে লাভবান হওয়া যাচ্ছে না।
এলাকাবাসী জানান,আমাদের এলাকার বাঙ্গি ও তরমুজের গুনগত মান খুবই ভাল হওয়ায় প্রতিবছরই বাইরে থেকে অনেক বেপারিগণ ফসল ক্রয় করতে আসেন। প্রতিদিনই বাঙ্গি,তরমুজ ও মিষ্টি কুমড়ার ৪০থেকে ৫০টা গাড়ি লোড হয়ে দেশের অন্যত্র যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.হারুনর রশিদ জানান, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ও যথাযথ পরামর্শ দেওয়ায় গুরুদাসপুরে এবছর সাথী ফসরের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যে কৃষকরা ফসল সংগ্রহ শুরু করেছে। বাজারে দামও বেশি পাওয়ায় আগামী বছরে কৃষকরা সাথী সফল আবাদে আগ্রহি হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।

x