ঢাকা, শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন
দেশীয় কিপ্টোকারেন্সি অ্যাপ বানালো আইএসডি; সরকারী অনুমোদনের অপেক্ষায় 
Reporter Name
অমর ডি কস্তা  নিজস্ব প্রতিনিধি: এই প্রথম দেশীয় কিপ্টোকারেন্সি অ্যাপ তৈরী করলো ইন্টারন্যাশনাল সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট (আইএসডি) নামে বাংলাদেশী সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। এই অ্যাপ ব্যবহারের ফলে বৈদেশিক কোম্পানী কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত কার্ড ভিত্তিক লেনদেন কমে আসবে এবং দেশীয় প্রতিষ্ঠানের কার্ড ব্যবহার নিশ্চিত হবে। দেশীয় কিপ্টোকারেন্সি অ্যাপ ব্যবহারের ফলে দেশের রাজস্ব আয় বাড়বে ও পাশাপাশি কর্মসংস্থান ঘটবে প্রায় সহস্রাধিক জনবলের। এই অ্যাপ  এখন সম্পূর্ণরুপে প্রস্তুত ব্যবহারের জন্য। সরকারী অনুমোদন মিললে খুব শীঘ্রই প্রতিটি মানুষ এই সেবা পাবে অনায়াশে। সফটওয়্যার নির্মাতা  প্রতিষ্ঠান আইএসডি’র প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জনি এ ব্যাপারে সরকারী অনুমোদন ও সহযোগিতা চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছেন।  তিনি জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এই অ্যাপ প্রমাণ রাখবে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের গর্বিত বাংলাদেশী। মো. জনি আইসিটি হিরো খ্যাত তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের জনক সজীব ওয়াজেদ জয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই অ্যাপ ব্যবহারে অনুমোদন চান।
আইএসডি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জনি জানান, ২০০৯ সাল থেকে বিটকয়েন সহ মোট ৫৩৮ টি বিদেশী কিপ্টোকারেন্সি লেনদেন মাধ্যমকে বাংলাদেশ সরকার অবৈধ ঘোষণা করার দীর্ঘ ১১বছর পর বাংলাদেশের নিজস্ব মালিকানাধীন কিপ্টোকারেন্সি অ্যাপ বানিয়ে সারাদেশে সাড়্রা ফেলেছেন সফটওয়্যার নির্মাতা আইএসডি প্রতিষ্ঠানটি। কিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রচলিত থাকলেও বাংলাদেশে অবৈধ ঘোষণা করার প্রধান কারণ ছিল এই সকল ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেন করলে বাংলাদেশ এই লেনদেন গুলো সম্পর্কে কোন তথ্য পায় না এবং বাংলাদেশ সরকার কোন প্রকার রাজস্ব পায় না। যার ফলে প্রতিদিনই অবৈধ ভাবে লেনদেন হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। যেহেতু, বাংলাদেশের কোন নিজস্ব কিপ্টোকারেন্সি অ্যাপ ছিলো না তাই এতদিন অবৈধ থাকলেও এখন সময় হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশকে সারা বিশ্বে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। সেই লক্ষেই দেশীয় সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আইএসডি এই অ্যাপটি ডমেস্টিক এবং ইন্টারন্যাশনাল ভার্চুয়াল মুদ্রা লেনদেনের জন্য বাংলাদেশ সরকার এর নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছে।
অ্যাপ সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন পাওয়ার পূর্বে দেশীয় এই কিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রার নাম প্রকাশ করতে তিনি অনিচ্ছুক এবং এটি ব্যবহারে সুবিধাগুলো উল্লেখ করে তিনি বলেন,
(১) বিশ্বের অনলাইন ট্রানজেকশন মাধ্যমএ নতুন এক ভার্চুয়াল মুদ্রা চালু হবে যা বাংলাদেশের তৈরি।
(২) হুন্ডির ব্যবহার বন্ধ হবে। দেশে রেমিট্যান্স এর পরিমাণ বাড়বে।
(৩) বাংলাদেশে ৬ লক্ষ ৫০ হাজার ফ্রিল্যান্সাররা অনলাইনের বিভিন্ন মার্কেট যেমন-ফ্রিল্যান্সার বা আপওয়ার্ক ইত্যাদিতে জব করে জীবিকা নির্বাহ করছে তবে কষ্টার্জিত টাকা দেশে আনতে বিদেশী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গুলোকে দিতে হচ্ছে প্রচুর রাজস্ব এবং হাতে টাকা পৌঁছাতে প্রচুর বেগ পেতে হচ্ছে এই ক্ষেত্রে নতুন এই দেশীয় ভার্চুয়াল মুদ্রার মাধ্যমে মুহুর্তেই পেয়ে যাবে নিজস্ব একাউন্ট এ প্রত্যাশিত মুদ্রা।
(৪) ঘরে বসে একাউন্ট খোলা সহ একাউন্ট এর ব্যলেন্স যেকোনো সময় মুহুর্তেই তোলা যাবে দেশীয় মোবাইল ব্যংকিং, ব্যংক ,এটিএম কার্ড এর মাধ্যমে।
(৫) বিশ্বের যেকোন দেশ থেকে মুহুর্তেই পন্য ক্রয়-বিক্রয় করে সাথে সাথেই পেমেন্ট করা যাবে এই অ্যাপ এর মাধ্যমে।
(৬) বিশ্বের বড় বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো যদি আমাদের ভার্চুয়াল মুদ্রা ব্যবহার করে পেমেন্ট গ্রহণ করে তবে এই খাত থেকে সরকার যে রাজস্ব পাবে তা আশানুরূপ।
(৭) ভবিষ্যত প্রজন্মের মেধাকে কাজে লাগিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনার অনুমতি দেওয়া হলে বৈধ উপায়ে বিপুল রেমিট্যান্স দেশে আসবে।
(৮) বাংলাদেশের ৬৫ জেলায় অফিস প্রতিস্থাপন সহ সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন সহ বিভিন্ন দেশে ব্রাঞ্চ স্থাপনে ও বাংলাদেশ সরকার এর সহযোগিতায় খুব  দ্রুত এবং অল্প সময়ে দেশের বিশাল উন্নতি সাধন করা সম্ভব।
(৯) ডমেস্টিক বা ক্রস-বর্ডার লেনদেন এর সকল তথ্য বাংলাদেশ ব্যংক দ্বারা পরিচালিত হলে সর্বোচ্চ সুরক্ষা বজায় থাকবে এবং এতে আমার প্রতিষ্ঠান আইএসডি সহ বিশ্ববাসি ধন্য হবে বলে আমি  মনে করি।

One response to “দেশীয় কিপ্টোকারেন্সি অ্যাপ বানালো আইএসডি; সরকারী অনুমোদনের অপেক্ষায় ”

  1. … [Trackback]

    […] Info to that Topic: doinikdak.com/news/8192 […]

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x