সোমবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বর্তমানে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত রয়েছে (৩ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হবে)। এ কারণে ক্যাপ্টেনের মরদেহ আনতে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করতে হবে। ক্যাপ্টেন নওশাদের মৃত্যুর পর হাসপাতালের ডেথ সার্টিফিকেটের অপেক্ষায় ছিল বিমান। সেই সার্টিফিকেটের কপি ঢাকায় আসার পরপরই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চেয়েছে বিমান।
তিনি আরও বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। সোমবার মধ্যরাত অথবা মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সকালে আনা হতে পারে মরদেহ। বিমানবন্দরে তাকে সম্মাননা জানাবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী ও সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম- জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার সংবাদমাধ্যমকে জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার বাদ জোহর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সব মসজিদে ক্যাপ্টেন নওশাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও বিমানের পক্ষ থেকে তার মরদেহ দেশে আনতে প্রয়োজনীয় সকল কার্যক্রম চলছে।
তিনি বলেন, ক্যাপ্টেন নওশাদের অকাল মৃত্যুতে বিমানের এমডি ও সিইও ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালসহ বিমানের সব স্তরের কর্মীরা গভীরভাবে শোকাহত। বিমান ক্যাপ্টেন নওশাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানাচ্ছে।
গত ২৭ আগস্ট সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি নিয়ে ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন নওশাদ অসুস্থ বোধ করেন। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) কাছে ফ্লাইটটিকে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে ফ্লাইটের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন। কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ফ্লাইটটিকে নিকটস্থ নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলট ক্যাপ্টেন মুস্তাকিম ফ্লাইটটি অবতরণ করান।
বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজটির এই ফ্লাইটে ১২৪ জন যাত্রী ছিলেন। তারা সবাই নিরাপদে ছিলেন। শুক্রবারই আরেকটি ফ্লাইটে করে আট সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল নাগপুরে যায়। ওইদিন মধ্যরাতের পর বিমানটিকে যাত্রীসহ ঢাকার বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়।
ফ্লাইটটি অবতরণের পর ক্যাপ্টেন নওশাদকে নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ২ দিন চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে রোববার তাকে হাসপাতালের সার্জিক্যাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এসআইসিইউ) কোমায় নেওয়া হয়। সেখানে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। হার্ট অ্যাটাকের পর তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় বলে জানান হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তবে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে আজ সোমবার সকালে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ক্যাপ্টেন নওশাদ।
নওশাদ ও তার ফার্স্ট অফিসারের কারণে এবার জীবন রক্ষা পেয়েছে ওমান থেকে ঢাকার উদ্দেশে আসা ১২৪ যাত্রীর। তবে এটিই প্রথম নয়, পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালে আরেকটি দুর্ঘটনার হাত থেকে ১৪৯ যাত্রী আর সাত ক্রু‘র জীবন বাঁচিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ।
এদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোক বার্তায় মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।
order lasuna generic – purchase himcolin generic cheap himcolin sale
neurontin 800mg tablet – gabapentin 600mg price sulfasalazine 500mg canada
besifloxacin online order – sildamax buy online purchase sildamax without prescription
order benemid sale – buy generic monograph 600 mg purchase tegretol for sale
order celecoxib pill – buy generic celecoxib online order indocin 50mg without prescription
mebeverine medication – etoricoxib 120mg over the counter order pletal 100mg
purchase diclofenac online cheap – order generic aspirin buy aspirin without a prescription
cost pyridostigmine 60mg – cheap azathioprine order azathioprine 25mg generic
buy rumalaya tablets – elavil 10mg without prescription buy elavil for sale