ঢাকা, রবিবার ০৫ মে ২০২৪, ০২:০৮ পূর্বাহ্ন
নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক গানম্যান পাচ্ছেন ইউএনওরা
Reporter Name

বিভিন্ন জায়গায় টানা কয়েকদিন সরকারি দফতর ও স্থাপনায় ধ্বংসাত্বক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন অনেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি)। এ পরিস্থিতিতে ইউএনওদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় গানম্যান নিয়োগ করতে যাচ্ছে সরকার।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার পর দেশের ৪৯২টি উপজেলায় চারজন করে মোট এক হাজার ৯৬৪ জন সশস্ত্র আনসার মোতায়েন করা হয়। কিন্তু ইউএনওদের শারীরিক নিরাপত্তায় একজন পুলিশ (গানম্যান) এবং তাদের বাসভবনের নিরাপত্তায় তিন শিফটে ছয়জন করে ব্যাটালিয়ন আনসার মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

সূত্র আরো জানায়, ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলা কমপ্লেক্সে ব্যারাক নির্মাণ করা হবে। আনসার সদস্যরা সেখানে থাকা-খাওয়াসহ সবধরনের সুবিধা পাবেন। এতে উপজেলা পরিষদের প্রত্যেক কর্মকর্তার নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এসব আনসার সদস্যের বেতন-ভাতা ইউএনও কার্যালয় থেকে পরিশোধের জন্য গত ১ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

অপর একটি সূত্র জানায়,  স্থানীয় সরকার বিভাগ ২৯ মার্চ প্রত্যেক ইউএনওর বাসভবনে আনসার বাহিনীর সদস্যদের জন্য ব্যারাক ও সেন্ট্রি পোস্ট নির্মাণের জন্য ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয়ের অনুমোদন দেয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানায়, সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে মাঠ পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা সব মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিত্ব করেন। এসব দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ঝুঁকির মধ্যে থাকেন তারা। তাই তাদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রদানসহ উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে বসবাসকারী সব কর্মকর্তার বাসস্থান ও অফিসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এজন্য ইউএনওর সার্বক্ষণিক গানম্যান হিসেবে একজন পুলিশ সদস্য, ইউএনওর বাসভবন নিরাপত্তায় দুজন করে তিন শিফটে ছয়জন ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরের নিরাপত্তার জন্য একজন পুলিশ ও তিনজন আনসার সদস্যের সমন্বয়ে তিন শিফটে মোট ১২ জন মোতায়েন করা হবে।

একাধিক ইউএনও জানান, সাম্প্রতিক ঘটনায় চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন তারা। এজন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় আনসার সদস্যদের সার্বক্ষণিক অস্ত্র ও গুলি সঙ্গে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তারা। এজন্য ব্যাটালিয়ন আনসার প্রয়োজন বলে দাবি করেন তারা।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, সম্প্রতি হেফাজতের কর্মীরা ইউএনওদের বাসভবনে আক্রমণ করেছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিতে সংশ্নিষ্টদের বলা হয়েছে। একই সঙ্গে হেফজতের কর্মীরা থানায় হামলা করছে। আবার ইউএনওর বাসভবন থেকে অনেক থানা দূরে হওয়ায় পুলিশ দ্রুত আসতে পারছে না। এ পরিস্থিতিতে আনসার সদস্যদের সবধরনের প্রস্তুতি থাকার নির্দেশনা দিতে ইউএনওদের বলা হয়েছে। ইউএনওদের নিরাপত্তায় ব্যাটালিয়ন আনসার ও গানম্যান মোতায়েনেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x