ঢাকা, রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন
জুসের সাথে চেতনানাশক ঔষুধ খাইয়ে মেয়েকে ধর্ষণ করলো পিতা
মিরসরাই প্রতিনিধি

মিরসরাইয়ে জুসের সাথে চেতনানাশক ঔষুধ খাইয়ে মেয়েকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে পিতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত পিতার নাম নুর উদ্দিন মিঠু (৪০)। উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিন সোনাপাহাড় গ্রামের নুরুল ইসলাম টেইলার্স বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। রবিবার (১৩ জুন) গভীর রাতে ওই মেয়ের মা বাড়িতে না থাকায় জুসের সাথে চেতনানাশক ঔষুধ খাইয়ে ধর্ষন করে মিঠু। দুই ভাই একবোনের মধ্যে মেয়েটি বড়। সোমবার (১৪ জুন) সন্ধ্যায় গ্রামের মাতবর এনামুল হক সওদাগর ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মুজিবুল হকের তত্বাবধানে শালিসী বৈঠকে বিষয়টি সমাধান করতে চাইলে পুরো এলাকায় জানাজানি হলে মিরসরাই সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার লাবিব আবদুল্লা ও জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ নুর হোসেন মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে।

জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মুজিবুল হক জানান, সোমবার বিকেলে ওই এলাকার সর্দার বিষয়টি আমাকে অবহিত করে। এরপর আমি স্থানীয় গন্যমান্য কয়েকজনকে নিয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে মেয়ের সাথে কথা বললে সে ধর্ষণের বিষয়টি খুলে বলে। ২ ভাই একবোনের মধ্যে মেয়েটি বড়। রবিবার গভীর রাতে মেয়েটির মা বাড়ীতে না থাকায় মেয়েকে জুসের মধ্যে চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে একাজ করেছে। তিনি আরো বলেন, মিঠু বাবা নামের নরপশু। কোন বাবা মেয়ের সাথে এমন জঘন্য কাজ করতে পারে না। ঘটনা সমাধান করার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন, মেয়ের বক্তব্য শুনতে ওই বাড়িতে গিয়েছি, ঘটনা সমাধান করার বিষয়টি সত্য নয়।

জোরারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাফর আহম্মদ বলেন, পিতা কর্তৃক জুসের সাথে চেতনানাশক ঔষুধ খাইয়ে অচেতন করে মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকালে মেয়েটি বাদী হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে অভিযোগ (নং-১৪) দায়ের করেন, ঘটনার তদন্ত চলছে।

জোরারগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মুহম্মদ হেলাল উদ্দিন ফারুকী জানান, ওই মেয়েকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। সোমবার রাতে মেয়েটির বাবা মামলার আসামী নুর উদ্দিন মিঠুকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছে সে। মঙ্গলবার মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

x