করোনা পরিস্থিতির ওপর চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (১৫ জুন) ঢাকার কেরানীগঞ্জের জাজিরা মোহাম্মদিয়া আলিয়া মাদ্রাসায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হবে কি-না, তা বিবেচনা করা হবে করোনা পরিস্থিতি দেখে।’
এর আগে গত রবিবার (১৩ জুন) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখন সেটি যদি সম্ভব না হয়, তাহলে আমরা বিকল্প নিয়েও চিন্তা করছি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জন্য এই বছরের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে ডিসেম্বরে পরীক্ষা নিতে হলে শিক্ষার্থীদের কিছুদিন ক্লাস করানোর জন্য কয়েক মাস আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে হবে। সেটা সম্ভব না হলে গুরুত্বপূর্ণ চার-পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়ার বিকল্প ভাবনা আছে। বিশেষ করে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞানের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এই পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে।
তবে কোনোভাবেই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে অ্যাসাইনমেন্টভিত্তিক মূল্যায়ন হতে পারে। এরই মধ্যে ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া শুরু হয়েছে। সেভাবেই এ বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদেরও অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে। এটা অনেকটাই ‘ওপেন বুক এক্সাম’ পদ্ধতির মতো। তবে এই দুই পাবলিক পরীক্ষায় অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হলে এর সঙ্গে আগের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার নম্বর যুক্ত করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে এসএসসির ক্ষেত্রে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং এইচএসসির ক্ষেত্রে জেএসসি ও এসএসসির নম্বর এই মূল্যায়নে থাকতে পারে।
আর সবশেষ বিকল্প হচ্ছে আগের পরীক্ষাগুলোর ভিত্তিতে মূল্যায়ন। কিন্তু গত বছর জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার মূল্যায়ন করা হলেও তা ছিল অনেকটাই ‘অটো পাসের’ মতো। ত