ঢাকা, শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫, ১২:২৬ অপরাহ্ন
মেঘনায় নেই কাংক্ষিত ইলিশ, চরম বিপাকে জেলারা
আর জে শান্ত, ভোলা

ভোলা সহ দক্ষিন অঞ্চলের বেশির ভাগ জেলার একটা বিরাট জনগোষ্ঠির জীবিকার প্রধান মাধ্যম হলো মাছ শিকার। এরা নদী থেকে  মাছ শিকার করে সেই মাছ বিক্রি করে সংসার চালায়। দীর্ঘ সময় ধরে দক্ষিন অঞ্চলের নদী গুলোতে অভিযান ছিলো। নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ ছিলো। দীর্ঘ অভিযানের পর জেলেরা নদীতে মাছ শিকারে নামেন। কিন্তু নদীতে নেই কোন ইলিশের দেখা। দিন যায় তারা মাছের আসায় নদীতে জাল পালায়। কিন্তু নদী থেকে সেই কাংক্ষিত মাছের দেখা মিলছে না। এই জেলে পরিবার গুলোর অন্য কোন কর্মসংস্থান না থাকায় এরা এখন চরম দূরভোগে জীবন যাপন করছে।

আজ (সোমবার) ভোলা সদর উপজেলার কাঠির মাথা নামক স্থানে গিয়ে দেখা যায় জেলেরা বসে বসে অলস সময় পার করছে। একটু সামনে এগিয়ে গিয়ে সোহাগ মাঝি নামে এক মাঝির কাছে জানতে চাইলাম নদীতে মাছের কি অবস্থা, মাঝি সাথে সাথে জানালেন নদীতে এখন কোন মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা কি খেয়ে বাচঁব বলেন,, পোলাপান গুলারে তো খাবার দিতে হয়, তাই ঋন নিয়ে কোন রকম চলছি। হারেছ মাঝি জানান আমি ছোট বেলা থেকে মাছ ধরি, এটা ছাড়া আমার আর কোন কাজ নেই, এখন নদীতে মাছ নাই তাই ইনকাম ও নাই,, অনেক কষ্টে আছি।

মানছুর মাঝির ৭ সদস্যের পরিবারে উপার্জনের মাধ্যম ই হলো মাছ শিকার। তিনি বলেন সরকার অভিযান দিছে আমরা মানছি কিন্তু অভিযান শেষ এখন আর নদীতে কোন মাছ নেই , আমাদের খোজ কেউ নেয় না। রাকিব মাঝি বলেন আশা সমিতি থেকে ঋন নিয়ে নৌকা ঠিকঠাক করে নদীতে নামাইছি, কিন্তু নদীতে মাছ নাই তাই ঋনের টাকা দিতে পারছি না, টাকা দিতে না পারায় সমিতির লোকেরা আমাদের সাথে চরম দূরব্যবহার করে এবং টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।

এ দিকে ভোলা সদর উপজেলার বিভিন্ন মাছ ঘাট গুলো ঘুরে দেখা যায় মাছ ঘাট গুলো অলস সময় পার করছে এবং নৌকা গুলো সব উপরে উঠানো, এ বিষয় জানতে চাইলে তুলাতুলি মাছ ঘাট এর মোঃ বশির মাঝি জানান নদীতে মাছ নাই নদীতে যেতে যেই টাকা খরচ হয় সেই পরিমান মাছ পাওয়া যায় না,, দোকানে দেনা বাড়ে তাই নদীত যাওয়া বন্ধ।

উপজেলা মৎসজীবি সমিতির নেতা এরশাদ জানান নদীতে কোন ধরনের মাছ পাওয়া যায় না। তাই জেলেরা চরম দূরভোগে জীবন যাপন করছেন।নদীতে মাছ না পড়লে জেলেদের জীবন আরো দূরভোগে পরে যাবে। তবে সরকারের উচিত জেলেদের সহযোগিতা করা।

x