ঢাকা, শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫, ০১:৩০ অপরাহ্ন
করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে
Reporter Name

করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। সেই সঙ্গে স্বরূপে ফিরবে বাংলাদেশের অর্থনীতিও। চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে। আর আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে তা পৌঁছতে পারে ৫ দশমিক ১ শতাংশে।

দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

তবে প্রতিবেশি দেশ ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে বিস্ময়কর উত্থান হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ১০ শতাংশেরও বেশি।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন থেকে ‘সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস’ শীর্ষক এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার শুরু হয়েছে।

তবে এখনো অর্থনীতিতে ব্যাপক অনিশ্চয়তা রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, তা অনিশ্চয়তা রয়েছে। এর উপর নির্ভর করেই সরকারকে কী ধরনের নীতি গ্রহণ করতে হয়, তা নিয়েও রয়েছে আরেক ধরনের অনিশ্চয়তা। কারণ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

গত জানুয়ারির প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলেছিল, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৭ শতাংশ হবে।

বিশ্বব্যাংকের ধারণা কোভিড-১৯ মহামারিতে জিডিপির রেকর্ড পতনের পর ভ্যাকিন প্রয়োগের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো আগামী অর্থবছরে ঘুরে দাঁড়াতে চলেছে।

তবে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে প্রবাসী আয়ের ওপরই বেশি ভরসা বিশ্বব্যাংকের।

প্রতিবেদনে সংস্থাটি বলছে, যতটা আশা করা হয়েছিল তার চেয়েও বেশি প্রবাসী আয় আসায় চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে তা পৌঁছতে পারে ৫ দশমিক ১ শতাংশে। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ২ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংকের ধারণা, ২০২১ সালে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে গড়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। এর পরের বছর প্রবৃদ্ধি হবে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। কারণ এই অঞ্চলে বিদ্যুতের ব্যবহার ও যান চলাচল বাড়ছে। এর থেকে স্পষ্টভাবেই বলা যায় এই অঞ্চলের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।

ভারতে ১০% প্রবৃদ্ধি হতে পারে
ভারতের সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটিতে বড় উত্থান হবে জিডিপির। ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ১০ দশমিক ১ শতাংশ। গত জানুয়ারির প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল ভারতের প্রবৃদ্ধি হবে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ।

এছাড়া নেপালে ২০২১-২২ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ২ দশমিক ৭ শতাংশ। আর পাকিস্তানের ক্ষেত্রে এটা হতে পারে ২ শতাংশ। গত জানুয়ারির প্রতিবেদনে পাকিস্তানের জন্য শূন্য শতাংশ প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপণ দেয়া হয়েছিল। মালদ্বীপের প্রবৃদ্ধি সর্বোচ্চ ১৭ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে। গতবার মালদ্বীপের জিডিপি কমেছিল ৩৮ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে আফগানিস্তান ১ শতাংশ ও শ্রীলঙ্কা ৩ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে।

তবে ভুটানের জিডিপি ১ দশমিক ৮ শতাংশ কমে যেতে পারে।

বিশ্বব্যাংকের ধারণা, সার্বিকভাবে ২০২১ সালে দক্ষিণ এশিয়ার গড় প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে। নিউজ সোর্সঃ ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে

x