পুরো ভারত জুড়ে বাধনছাড়া হয়ে পড়েছে করোনা সংক্রমণ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বেসামাল হয়ে পড়েছে দেশটি। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, হাসপাতালে বেড নেই, নেই পর্যাপ্ত অক্সিজেনও। অসহায় মানুষের হাহাকারে চারিদিক ভারী হয়ে গেছে। শ্মশানে জমছে মৃতদেহের স্তূপ, সৎকার করার জায়গা নেই। কবরস্থানেও জায়গা মিলছে না মৃতদেহ কবর দেওয়ার। সংবাদ মাধ্যমের পাতায় একেরপর এক ভেসে আসছে হৃদয় বিদারক নানা চিত্র । কোথাও এই আকালের বাজারে রমরম করে চলছে কালো বাজারি, কোথাও আবার ভুয়ো টিকা, ওষুধ, ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে । কোথাও আবার হাতুড়ে চিকিৎসকরা সুযোগ বুঝে ভুল চিকিৎসা করিয়ে টাকা কামাচ্ছে।
এমনই এক চিত্র দেখা গেছে মধ্যপ্রদেশের আগর-মালওয়া জেলার ধনিয়াখেড়ি গ্রামে। সেখানে গাছ তলায় শুইয়ে রোগীদের চিকিৎসা করা হচ্ছে। একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দেখা গেছে, হাইওয়ে থেকে ২০০ মিটার দূরে এক কমলালেবুর বাগানে প্লাস্টিকের শিট পেতে পর পর শুইয়ে দেওয়া হয়েছে করোনা রোগীদের। গাছের ডাল থেকে ঝুলছে স্যালাইনের বোতল । তবে কারও মুখেই মাস্ক নেই । নেই নূন্যতম সুরক্ষা ব্যবস্থাও।
করোনা উপসর্গ থাকলেও সরকারি হাসপাতালে যেতে ভয় পাচ্ছেন গ্রামের মানুষরা, তাই এই ব্যবস্থা বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। গ্রামের প্রশাসনও বারবার হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা।