কঠোর লকডাউনে অপ্রয়োজনে চলাফেরা নিয়ন্ত্রণে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় সেনা সদস্যরাও নেমেছে।
ঘোষণা ছিল কঠোর লকডাউনে কঠোর থাকবে পুলিশ; প্রথম দিনে তাই দেখা গেল রাজধানীতে। ঘর থেকে ‘অপ্রয়োজনে’ বের হয়ে গ্রেপ্তার হতে হল ৫৫০ জনকে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধের এই লকডাউনে বৃহস্পতিবার সারাদিনে তৎপর থাকা ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) রাতে এই তথ্য জানায়।
এর আগে সকাল থেকেই বিভিন্ন সড়কে থাকা মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্তুষ্ট না হলে আটক করছিল পুলিশ। দুপুর নাগাদ এই সংখ্যাটি আড়াইশ পেরিয়ে গিয়েছিল।
তখন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেছিলেন, “যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে কাউকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, কাউকে জরিমানা করা হচ্ছে, কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট আইনে মামলা করা হচ্ছে।”
রাতে ডিএমপির মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়, ৫৫০ জনের বিরুদ্ধে ডিএমপি অধ্যাদেশে মামলা করা হয়েছে। মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন ৩৯১ জন।
এর বাইরে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করেছে ২১২ জনকে। ২৭৪টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে বলে ডিএমপি জানায়। লকডাউনে জরুরি সেবার গাড়ি ছাড়া সব ধরনের যান্ত্রিক বাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, সেনা সদস্য ও বিজিবি সদস্যরাও লকডাউন বাস্তবায়নে ঢাকায় সক্রিয় ছিল।