ঢাকা, সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩৯ অপরাহ্ন
রাজধানীর সড়কে কর্মব্যস্ত মানুষের আনাগোনা, গণপরিবহণ নেই
Reporter Name

সারা দেশে এক সপ্তাহের লকডাউনের প্রথম দিন আজ সোমবার। লকডাউন চলবে আগামী ১১ এপ্রিল রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত। লকডাউনের প্রথম দিন সরকারি নির্দেশনার কারণে রাজধানীর সড়কে দেখা যায়নি গণপরিবহণ। তবে চলাচল করতে দেখা গেছে রিকশা, সিএনজি, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল। এ ছাড়া কর্মস্থলের উদ্দেশে যাওয়ার জন্য এবং কাজের তাগিদে রাস্তায় মানুষের আনাগোনা দেখা গেছে।

এদিকে, বিধি-নিষেধের আওতামুক্ত বিভিন্ন জরুরি পণ্য পরিবহণ করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া সকালে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থায় কর্মীদের অফিসের উদ্দেশে নিতে দেখা গেছে। রিকশা বা সিএনজিতে করেও গন্তব্যে যাচ্ছেন কেউ কেউ।

এদিকে, লকডাউনকে কেন্দ্র করে ঢাকা ছাড়ার জন্য গতকাল রোববার বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন ও লঞ্চঘাটে মানুষের হিড়িক পড়ে যায়। ঘরমুখো মানুষের ভিড়ে বিভিন্ন সড়কে দেখা যায় তীব্র যানজট। কমলাপুর ও এয়ারপোর্ট রেলস্টেশনে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। মনে হচ্ছিল, অনেকে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাচ্ছেন। তবে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি।

গাবতলী বাস টার্মিনালেও অসংখ্য মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই যাত্রীদের বাসে চড়তে দেখা গেছে।

অন্যদিকে, বেশি সংখ্যক যাত্রী নেওয়ার পরও বাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বেশি নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অনেকে।

সদরঘাটের লঞ্চঘাটেও দেখা গেছে ভয়াবহ পরিস্থিতি। হাজার হাজার ঘরমুখো মানুষ বাতাস ও বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে লঞ্চে চেপে বসেন। অনেককে সিট না পেয়ে ফিরে যেতেও দেখা গেছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আজ সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করে গতকাল রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। প্রজ্ঞাপনে লকডাউনের মধ্যে সারা দেশে গণপরিবহণ বন্ধ, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ঘরের বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা, কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ আরোপ করে ১১টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখার উপসচিব মো. শাফায়াত মাহবুব চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনাগুলো জানানো হয়। সূত্র

x