ঢাকা, বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ০৯:৩৬ অপরাহ্ন
নগরকান্দায় পাটের আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত কৃষক
মিজানুর রহমান, নগরকান্দা (ফরিদপুর)

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় পানিতে জাগ দিয়া পাট ছাড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কুষক-কৃষানীরা।
উপজেলার গ্রামগুলোতে বিল বাওড়, ডোবা,নালা,নদীর পানিতে কাটা পাট জাগ দিয়ে ছাড়াতে ব্যস্ত দেখা যায় কৃষকদের।

“সোনালী আঁশে ভরপুর, ভালোবাসি ফরিদপুর ” এই স্লোগান কে সামনে রেখে নগরকান্দা উপজেলার পাট চাষীরা পাটের দাম ভালো পাওয়ায় দিন দিন পাট চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।
বাংলাদেশের মধ্যে ফরিদপুর জেলা পাট চাষে অন্যতম।ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার প্রায় ৮০ ভাগ জমিতে পাটের আবাদ হয়।
চৈত্র মাসের মাঝামাঝি সময় পাট চাষ বুনান শুরু হয়। বেলে দোঁয়াশ মাটিতে ও এটেল দোঁয়াশ মাটিতে পাট ভালো হয়।উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, ২০২০-২০২১ মৌসুমে ১১,৫৭০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক প্রতিটি ইউনিয়নে পাট চাষীদের নিয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পাট চাষের উন্নত কলাকৌশল নতুন প্রযুক্তি পোকামাকড়, রোগবালাই দমন, পাট প্যাচানো বিষয় উঠান বৈঠক প্রদর্শন স্হাপনের মাধ্যমে কৃষকদের অবগত করেন।যে কারনে জমিতে পাটের ফলন বৃদ্ধি হচ্ছে। পরপর দুই বছর পাটের দাম কৃষক ভালো পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। পাট চাষীরা ক্রমেই পাট চাষ বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিঘাপ্রতি ১৫ থেকে ২০ মন পাট পায় কৃষক।পাটের পাশাপাশি পাট খড়িও বিক্রি হয় চড়া দামে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিন ইয়ামিন বলেন পাটের জন্য বিখ্যাত ফরিদপুর জেলা তার মধ্যে অন্যতম নগরকান্দা উপজেলা।উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পাটচাষিদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদেরকে পাট চাষের বিষয় অবগত করা সহ পাট বীজ, সার,ও বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকদের মাঝে বিতরণ করে তাদেরকে পাট চাষের প্রচেষ্টা করাই আমাদের লক্ষ্য।

এবছর একাধারে বৃষ্টি হওয়ায় নিচু জমিতে পানি জমে পাটের গোড়া পচে কিছু পাট নস্ট হলেও কৃষকদের তেমন ক্ষতি হয়নি।পাটের দাম ভালো পাওয়া কৃষক লাভবান হচ্ছে এবং আগামী বছর অনেক বেশি জমিতে পাট চাষ হবে বলে আশা করছি। পাট চাষীরা অনেকেই বলেন পাটের দাম দুই বছর ধরে ভালো পাওয়ায় তারা লাভবান তাই আগামীতে পাটের চাষ আরও বাড়িয়ে দিবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x