কয়েকটি দেশ থেকে মেডিকেল ভিসায় যত পর্যটক গত বছর ভারতে গেছেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ বাংলাদেশের। ভারতের কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, এই হার ৫৪.৩ শতাংশ।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে,পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালে ভারতে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে যাওয়া বিদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লোক গেছে বাংলাদেশ থেকে। গত বছর ভারতের মেডিকেল ট্যুরিস্টদের মধ্যে বাংলাদেশি ছিল ৫৪ দশমিক ৩ শতাংশ। দ্বিতীয় ইরাকিরা, তাদের হার ৯ শতাংশ। এরপর আফগানিস্তান থেকে ৬ শতাংশ, মালদ্বীপ থেকে ৪ দশমিক ৫ এবং আফ্রিকার কয়েকটি দেশ থেকে গেছেন ৪ শতাংশ লোক।
ভারতের ন্যাশনাল মেডিকেল অ্যান্ড ওয়েলনেস ট্যুরিজম প্রোমোশন বোর্ডের সদস্য বিখ্যাত চিকিৎসক ড. দেবী শেঠিকে উদ্ধৃত করে টাইমস অব ইন্ডিয়া শনিবার জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি রোগী হার্টের জটিল সমস্যা এবং ক্যানসারের চিকিৎসা করতে দেশটিতে গেছেন।
দেবী শেঠি বলেছেন, মহামারি শুরু হওয়ার পর রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। আগের অবস্থায় আসতে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে। তার ভাষায়,১৬৬টি দেশের জন্য সরকারের ই-ভিসা কার্যক্রম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অনেক বিদেশি রোগীর চাহিদা মিটিয়েছে। কম খরচে ভালো চিকিৎসার পাশাপাশি একই খাবার, ভাষার মিল এবং সাংস্কৃতিক স্বাচ্ছন্দ্য বাংলাদেশের জন্য ভারতের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির কারণ।
অবাক করার বিষয় হলো ২০০৯ সালের দিকেও পরিস্থিতি এমন ছিল না। তখন ভারতের বিদেশি রোগীর ২৩.৬ শতাংশ ছিল বাংলাদেশি, মালদ্বীপ ছিল শীর্ষে, ৫৭.৫ শতাংশ। ২০১৯ সালে সেই মালদ্বীপ ৭.৩ শতাংশে নেমে আসে, বাংলাদেশ পৌঁছে যায় ৫৭.৫ শতাংশে। দেবী শেঠি মনে করেন, বিদেশি রোগীদের ভারতে যাওয়ার হার আগের অবস্থায় ফিরতে ৩ থেকে ৬ মাস লাগবে।