মু রিমন ইসলাম, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: হাওর মানেই অপরুপ একটা জনপদ।সেখানকার মানুষ,সেখানকার নিয়ম সবই যে ভিন্ন।যেন আলাদা এক জগত।যেখানে করোনাকালে সারাদেশে সবাই ঘরবন্দি,পুরো হাওরজুড়ে সেখানে ব্যস্ত হার না-মানা কৃষক।ভয়কে জয় করে সোনালী ধান কেটে এখন ঘরে তুলছেন তারা।
চারিদিকে ধানকাটার মহা-উৎসব।দম ফেলারও যেন সময় নেই।বসে নেই নারীরাও,হাওরজুড়ে তাদেরও কর্মমুখর ব্যস্ততা।
শ্রীমঙ্গলের হাওরে অঞ্চলে এবছর বোরো ধানের ফলন ভাল হয়েছে। হাওরের বাতাসে দুলছে সোনালী ধান। যেদিকে চোখ যায় কেবল ধান আর ধান।তপ্তরোদ উপেক্ষা করে কষ্টে বোনা সেই ধান কাটছেন কৃষক। কেউ কাটছেন, কেউ মারাই করছেন কেউ আবার এই ধান শুকাচ্ছেন রোদে।লকডাউনের কারণে ধানকাটা শ্রমিকের স্বল্পতা থাকলেও স্থানীয় শ্রমিক ও পরিবারের লোকজন দিয়েই পুষিয়ে যাচ্ছে এই ঘাটতি।অন্যদিকে সেচ্চাশ্রমে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ধান কাটার উদ্বোধন করেন।পরে একে একে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের যুবকরা কৃষকদের ধান কাটতে সহযোগীতা করেন।
উপজেলার ভুনবীর ইউনিয়নের কৃষক জালাল মিয়া।বয়সের বাড় প্রায় ৪০ এর ঘরে দাঁড়াবে।তিনি শ্রীমঙ্গল উপজেলার হাইল হাওরের বুকে কিছু জমিতে ধান চাষ করেছেন।তার সাথে আলাপচারীতায় জানা যায় এই মৌসুমে প্রত্যাশীত ফসলটাই অর্জন করেছেন তিনি।বর্তমানে আবহাওয়া ভাল থাকায় তার জমির ধান কাটা প্রায় শেষ পর্যায়ে।মুখে হাসি নিয়ে এই কৃষক বলেন এবার ধানের ন্যায্য দাম পেলেই রোদে পুড়ে মাথা থেকে পা পর্যন্ত যে ঘাম ঝড়েছিলো সেই কষ্ট আর মনে থাকবে না।
একই এলাকার প্রবীণ কৃষক হোসেন আলী জানান, প্রত্যশার চেয়েও ভাল ফসল তিনি অর্জন করেছেন।বিগত মৌসুম গুলোতে ধারদেনা করে বোরো চাষ করতেন তিনি। ফসল ঘরে তোলার আগেই চাপ বাড়ত পাওনাদারদের।যে কারণে বৈশাখের শুরুতেই বেচতে হত ধান।তাছাড়া মজুদের ব্যবস্থা না থাকায় কমদামে ছেড়ে দিতে হত কষ্টের ধান।এই মৌসুমে তার আর এমন কোনো সমস্যা নেই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিলুফার ইয়াসমিন মুনালিসা সুইটি জানান,এ মৌসুমে উপজেলার ৯ হাজার ৬ শত ৫২ হেক্টর জমিতে বুরে্যা ধানের চাষ হয়েছে।এর মধ্যে হাওর অঞ্চলের নিচু জায়গায় ৩ হাজার ৭শত ২৭ হেক্টর জমি রয়েছে।আশা করছি ফসলের বাম্পার ফলন লক্ষমাত্রা অতিক্রম করবে।
এখন পর্যন্ত কতটুকু পরিমাণের ফসল কর্তন হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে এই কৃষি কর্মকর্তা জানান,হাওর অঞ্চলে প্রায় ৬০ ভাগ ফসল কর্তন শেষ এবং সাধারণ অঞ্চলের অনেক জায়গায় এখনো ধানের মুকুল আসে নি,অনেক জায়গায় মুকুল আসলেও ফসল কর্তনের উপযোগী হয় নি।তবে সাধারণ অঞ্চলে ১০ ভাগ ফসল কর্তন হয়ে গেছ