পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলাভি বলেছেন, তারা পাকিস্তানে মার্কিন সেনা উপস্থিতি মেনে নেবে না এবং আফগানিস্তানে অভিযান চালানোর জন্য নিজ ভূমিকে ব্যবহার করতে দেয়া হবে না।
মার্কিন রেডিওকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট।
হোয়াইট হাউজ পাকিস্তানে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার উপস্থিতি কিংবা আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর তাদের বেশিরভাগকে পাকিস্তানে মোতায়েন রাখার প্রস্তাব করলে বিরোধীতা করেন তিনি।তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কাছে খুব বেশী তথ্য নেই কিন্তু আমাদের সতর্ক থাকতে আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান চালানোর জন্য পাকিস্তান যেন মার্কিন ঘাঁটিতে পরিণত না হয়।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এর আগে আফগানিস্তানের ওপর নজরদারী রাখার জন্য পাকিস্তানে সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।মার্কিন প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি চলতি বছর ১১ সেপ্টেম্বর নাগাদ আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের যে ঘোষণা দিয়েছেন তাকে স্বাগত জানিয়ে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইসলামাবাদ আফগান শান্তি প্রক্রিয়ায় অবদান রাখতে চায়। তবে পাকিস্তানে মার্কিন গোয়েন্দা কার্যক্রম কিংবা সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের জন্য হোয়াইট হাউজের প্রস্তাবের বিরোধিতা করা থেকে বোঝা যায় ইসলামাবাদ সরকার ওয়াশিংটনকে সহযোগিতার নেতিবাচক পরিণতিকে মেনে নিতে প্রস্তুত নয়।
গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানদের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি সই হয়েছিল। ওই চুক্তি মোতাবেক যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়ে নিতে হবে। এ কারণেই বর্তমানে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে এনে পাকিস্তানে মোতায়েন রাখা নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। অন্যদিকে, মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে আফগানিস্তানেও নানান প্রতিক্রিয়া হয়েছে। আফগান পার্লামেন্টের কোনো কোনো সদস্য সেদেশ থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর পাকিস্তানে মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম স্থানান্তরের পরিকল্পনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
তারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতা অনুযায়ী মার্কিন সেনারা চলে গেলেও তাদের সামরিক সরঞ্জাম আফগানিস্তানে থেকে যাবে। কিন্তু এখন আমরা এ কারণে আতঙ্কিত যে মার্কিন সরকার তালেবানের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি লঙ্ঘন করে সমস্ত সামরিক সরঞ্জাম পাকিস্তানে স্থানান্তরের চিন্তাভাবনা করছে।আফগানিস্তানে গত দুই দশক ধরে তালেবানদের সহিংসতার প্রধান কারণ সেদেশে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর উপস্থিতি। এ অবস্থায় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট এ জন্য চিন্তিত যে তার দেশে মার্কিন সেনা উপস্থিতির কারণে তালেবানদের সৃষ্ট নিরাপত্তাহীনতা আরো বাড়বে এবং পাকিস্তানকে গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দেবে।
… [Trackback]
[…] Read More on on that Topic: doinikdak.com/news/9271 […]