আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই প্রাথমিক পর্যায়ে কোডিং ও প্রোগ্রামিং ন্যাশনাল কারিকুলাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, আধুনিক বিশ্বে নিজেদের এগিয়ে নিতে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই অংক, ইংরেজি শিক্ষার পাশাপাশি প্রোগ্রামিং ও কোডিং শিক্ষা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে শিক্ষক অভিভাবকদের বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে। তাহলে কিশোর-কিশোরীরা আইসিটিতে সফলতা বয়ে আনতে সক্ষম হবে।
ইন্টারন্যাশনাল আইসিটি গার্লস ডেকে কার্যকর ও সার্থক করে তুলতে সরকার, ইন্ডাস্ট্রি ও অ্যাক্যাডেমিয়াকে সঠিক দায়িত্ব পালনের উপর জোর দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিলা) ‘ইন্টারন্যাশনাল আইসিটি গার্লস ডে’ উপলক্ষে এটুআই, গ্রামীণফোন, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের উদ্যোগে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে অলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
পলক বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে আরো ৩৫ হাজার আধুনিক শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে কিশোর- কিশোরীরা প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে আইসিটি শিক্ষায় নিজেদের দক্ষ করে তুলতে উৎসাহিত হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পাস শিক্ষার্থীদের আইটিনির্ভর কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সারাদেশের ৬৪টি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণার্থীদের মেন্টরিং, কোচিং ও মনিটরিংয়ের জন্য সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, কিশোরীদের ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানমুখী, দক্ষতানির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আধুনিক প্রযুক্তি, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিত বিষয়ে আগ্রহী করে তুলতে হবে। তা না হলে তারা পিছিয়ে পড়বে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রতিনিধি ওরাল মারফি, ব্রাকের প্রতিনিধি কে এম মোর্শেদ, বাক্কোর সভাপতি ওয়াহেদ শরীফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লাফিফা জামাল, গ্রামীণফোনের হিউম্যান রিসোর্স প্রধান তানভীর হোসেন প্রমুখ।