হীমেল মিত্র অপু,স্টাফ রিপোর্টার: রাস্তায় চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে অধিকাংশ মানুষকে বিনা কারণ ছাড়া বাড়ি থেকে বের হলে তাদেরকে ফিরতি পথে ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব হলেও অনেক বাজারে আসা মানুষ কারণ ছাড়াও মিথ্যা অকারণে মিথ্যা কথা বলে বাজারে প্রবেশ করছে। এ ছাড়াও অনেকে প্রশাসনের অগোচরে দোকানপাট খুলে বসেছে। বিষয় গুলোকে আরো বেশি কঠোর নজরদারিতে আনার জন্য কঠোর অবস্থান নিয়েছে সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের সপ্তম দিনে রংপুর মহানগর পুলিশ।
রংপুরে সড়কের বিভিন্ন প্রধান মোড় গুলোতে বাঁশ দিয়ে সাময়িক বেরিকেড দেয়া হয়েছে। যাতে কোনোভাবেই বেরিকেড কৃত রাস্তা দিয়ে কোন যানবাহন প্রবেশ করতে না পারে। দুই লেনের সড়কে এক লেনে সম্পুর্ন বেরিকেড দিয়ে অপর লেনকে খোলা রাখা হয়েছে চেকিং কে আরো জোরদার করার জন্য।
লক্ষ্য করা গেছে রংপুরের বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়, ডিসির মোড়, শাপলা চত্বর, জাহাজ কোম্পানী মোড়, পায়রা চত্বরসহ রংপুর এর মূল সড়কগুলোর মোড় গুলোতে বাঁশ দিয়ে এই সাময়িক ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। যেখানে অপর রাস্তা খোলা থাকলেও একটি রাস্তা কে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে যেখানে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।
আজ (২১ এপ্রিল) বুধবার বিকেল ৩ টা থেকে লক্ষ্য করা গেছে রংপুর মহানগর পুলিশে টহল এর জন্য পুলিশ সদস্যদের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। প্রতিটি চেকপোষ্টে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।কঠোর লকডাউনকে আরও জোরদার করার লক্ষ্যে মাঠে অবস্থান নিয়েছে রংপুর মহানগর পুলিশ।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার আব্দুল আলীম জানান, সরকারিভাবে ঘোষিত কঠোর লকডাউন কে মানাতে পুলিশ সর্বদাই মাঠে কঠোরভাবে অবস্থান নিবে এবং সাধারণ নগরবাসীকে সুরক্ষিত রাখার জন্য অবশ্যই কঠোর লকডাউন মানতে বাধ্য করার জন্য সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।