ঢাকা, শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৫৩ অপরাহ্ন
কারেন্টপোকার আক্রমণে দিশেহারা কৃষক-ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা
Reporter Name
কারেন্টপোকার আক্রমণে দিশেহারা গুরুদাপুরের কৃষক-ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা

শরিফুল ইসলাম, গুরুদাসপুর(নাটোর) প্রতিনিধি: উঠতি ইরি-বোরো ধান নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চলনবিল এলাকার কৃষক। কারন উঠতি এই পাকা-আধাপাকা ধানে দেখা দিয়েছে কারেন্টপোকার (বাদামী গাছ ফড়িং) আক্রমন। ফলে ধানের উৎপাদন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষক।

কৃষকদের এমন শঙ্কার কারন হিসেবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুনর রশিদ  বলেন,  বৃষ্টিহীনতা, অতিমাত্রায় ইউরিয়া সার প্রয়োগ, ধান গাছের ঘনত্ব এবং ক্ষেতে পানি জমিয়ে রাখার কারনে অনেক কৃষকের ধান ক্ষেতে কারন্টেপোকার আক্রামন দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতির কারনে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের নানাভাবে পরামর্শ ও সহযোগীতা দেওয়া হচ্ছে। তবে দ্রুত ধানকাটা শুরু হওয়ার কারনে উৎপাদনে তেমন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই বলেও মন্তব্য করেন ওই কর্মকর্তা।’

কৃষি অফিসের পরিসংখ্যান বলছে, ‘ এবছর উপজেলায় ৪হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২২হাজার ৬০০ মেট্রিক টন। তবে কী পরিমান খেতে কারেন্টপোকার আক্রমন হয়েছে তার পরিসংখ্যান নেই কৃষি দপ্তরে।

উপজেলার বিলশা, রুহাই ও খুবজীপুর মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ চলনবিল জুড়ে ধান ক্ষেত। সবুজ খেতগুলো সোনালী রঙে ভরে গেছে। কেউ কাটছেন আবার অনেকে প্রস্তুতি নিচ্ছেন কাটার। অনেকের পাকা ধানে দেখা দিয়েছে কারেন্টপোকার আক্রমন।

ভুক্তভোগী কয়েকজন কৃষক জানান, তেল-সারসহ কৃষি উপকরণের কমতি ছিল না। মৌসুমের শুরু থেকেই অনাবৃষ্টি ছিল। তবে কারেন্টপোকার আক্রমে উঠতি পাকা-আধাপাকা ধান নষ্ট হয়ে চিটায় পরিণত হচ্ছে। এতে ফলন কম হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা। এসব কৃষকদের ভাষ্য,-এতে ফলন কম হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা। এসব কৃষকদের ভাষ্য,- গতবছর বিঘাপ্রতি ২৫-৩০মণ ধান পেয়েছিলেন। এবার কারেন্টপোকায় আক্রান্ত খেত থেকে ১৫মণ করে ধান পাওয়া কঠিন হবে। ফলে উৎপাদন খরচে টান পড়বে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x