ঢাকা,রবিবার ০৪ জুলাই ২০২১, ০২:৩৫ অপরাহ্ন
বাকি দুই বিয়ের কথা স্বীকার, প্রমাণের বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি মামুনুল
দৈনিক ডাক অনলাইন ডেস্ক

সোনারগাঁওয়ে রিসোর্টকাণ্ডের পর হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের কথিত আরো দুই স্ত্রীর বিষয়টি আলোচনায় আসে। গ্রেফতারের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই দুই নারীকে বিয়ে করেছেন বলে স্বীকার করেছেন তিনি।

তবে প্রমাণের বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি মামুনুল।

রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে মামুনুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের ডিসি কার্যালয়ে এনে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

পুলিশ সূত্র জানায়, মামুনুলের নামে বিভিন্ন থানায় দায়েরকৃত জিডি ও মামলার বিষয়ে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গত ১০ তারিখ মোহাম্মদপুর থানায় জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে লিপি নামে এক নারীর সন্ধান চেয়ে জিডি করেন তার ভাই শাহজাহান। জিডিতে লিপি নামে ওই নারীকে মামুনুলের স্ত্রী বলে উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে মামুনুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, লিপি নামে ওই নারীকেও তিনি বিয়ে করেছেন। অর্থাৎ লিপি তার তৃতীয় স্ত্রী। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে ‘বিয়ে করেছেন তো পরিবার ওই নারীর সন্ধান পাবে না কেন? বিয়েতো পাপ নয়’, এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

এছাড়া, মামুনুলের সঙ্গে সোনারগাঁওয়ের এক রিসোর্টে আটক নারীর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ওই নারীকেও স্ত্রী বলে দাবি করেছেন তিনি। তাহলে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে অন্য কারো স্ত্রী হিসেবে পরিচয় করানোর কারণ জানতে চাইলে কোনো জবাব দেননি মামুনুল।

হযরত মোহাম্মদ (সা:) কিভাবে ঠোঁট নাড়াতেন দেখিয়ে মামুনুল হক নবিজীকে ব্যঙ্গ করেছেন, এতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে কি না, জিজ্ঞাসাবাদে এমন প্রশ্নেরও তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, তাকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মোহাম্মদপুর থানায় দায়েরকৃত নাশকতার একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ মামলায় সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হবে। রিমান্ডে এনে আরো ব্যপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে নানা বিষয়ে আরো তথ্য পাওয়া যাবে।

এদিকে, তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় অজস্র মামলা রয়েছে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, পর্যায়ক্রমে মামুনুলকে সেসব মামলাতেও শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হবে।

রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে মামুনুলকে গ্রেফতারের পর তেজগাঁও ডিসি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে তেজগাঁও থানা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। সেখানেই ইফতার সারেন মামুনুল। পরে রাতে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

মামুনুলের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া বিভিন্ন মামলার প্রেক্ষিতে তাকে সেখানে রাতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। মোহাম্মদপুর থানায় দায়েরকৃত একটি মামলায় সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকালে রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে তোলা হবে।

One response to “বাকি দুই বিয়ের কথা স্বীকার, প্রমাণের বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি মামুনুল”

  1. ole777 says:

    444227 937681Great post will likely be linking this on a few internet sites of mine keep up the excellent work. 56917

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *