ঢাকা, রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৬ অপরাহ্ন
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হলো মামুনুল হককে
Reporter Name

গ্রেফতার হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।রোববার রাতে তাকে রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। রোববার রাতে ডিবি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এর আগে দুপুর ১টায় ওই মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ।উপকমিশনার (ডিসি) হারুন-অর রশিদের নেতৃত্বে এই গ্রেফতার অভিযান চলে।এরও আগে দুপুর ১২টা থেকে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা এলাকায় গোয়েন্দা সদস্য ও দাঙ্গা পুলিশের সদস্যরা অবস্থান নেন। মামুনুল হককে গ্রেফতারের পর প্রথমে শ্যামলীতে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনারের কার্যালয়ে নেওয়া হয়।এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেখান থেকে দুপুর ২টায় তাকে তেজগাঁও থানায় নেওয়া হয়।

দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত এই হেফাজত নেতার বিরুদ্ধে শুধু রাজধানীতেই ১৭টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে ১৫টি মামলা পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করে।আর বাকি দুটির মধ্যে এক যুবলীগ নেতা ও একজন সাধারণ মানুষ বাদী হয়ে দায়ের করেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের তাণ্ডবের পর ১৫টি মামলায় মামুনুল হককে আসামি করা হয়েছে।মামলাগুলোর বাদী হয়েছে পুলিশ।সর্বশেষ গত ৫ এপ্রিল পল্টন থানায় যুবলীগের এক নেতা বাদী হয়ে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। আর মোহাম্মদপুর থানায় আরেকটি মামলা করেন সাধারণ এক ব্যক্তি।

ডিএমপির একটি সূত্র জানায়, মামুনুল হক ডিবির মতিঝিল বিভাগে ৮টি মামলা, লালবাগ বিভাগে দুটি ও তেজগাঁও বিভাগে একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এসব মামলা তদন্তাধীন। এ ছাড়া মতিঝিল থানায় একটি ও পল্টন থানায় ৪টি মামলায় আসামি মামুনুল হক।এসব মামলার মধ্যে ১৫টি হয়েছে ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের ঘটনার পর।

মামুনুল হককে গত বছর মোহাম্মদপুরে একটি ভাংচুরের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানান ডিসি হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, তার (মামুনুল হক) বিরুদ্ধে মতিঝিল, পল্টন ও নারায়ণগঞ্জে আরও কয়েকটি মামলা আছে।পরে ওই মামলাগুলো সমন্বয় করা হবে। আগামীকাল (সোমবার) তাকে আদালতে হাজির করা হবে।

x